চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি চালের তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণে অনিয়ম : জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হত-দরিদ্রদের জন্য দেয়া ১০ টাকা কেজি চালের তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করেন ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামবাসী। এছাড়া সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে এবং চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্যকে অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে গ্রামবাসী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে সর্বমোট ১ হাজার ২ ’শ ২৪ জন হত দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তেঘরিয়া, কলাগাছি ও বাটিকাডাঙ্গা ওই ৩টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ৮ নং ওয়ার্ড। চাল বিতরণ কমিটি ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে ৮ নং ওয়ার্ডের জনসংখ্যা অনুযায়ী ১’শ ১৪টি চালের কার্ড বরাদ্দ দেয়। বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে ৪২টি এবং বাকিটা তেঘরিয়া ও কলাগাছি গ্রামে বিভাজন করা হয়। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে ৪২টির মধ্যে ১৮ টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। আর বাকি ২৪ টি কার্ডে তেঘরিয়া গ্রামের স্বচ্ছল পরিবারের মধ্যে বিভাজন করে দেয়া হয়। ফলে ওই গ্রামের স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেলেও বঞ্চিত হন বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের হত দরিদ্র, বিধবা ও প্রতিবন্ধীরা।

বাটিকাডাঙ্গা গ্রামবাসী আরও অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন। তার বাড়ি তেঘরিয়া গ্রামে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে নিজ গ্রামের আত্মীয়-স্বজন ও তার অনুসারীদের নামের তালিকা প্রণয়ন করেছেন। এতে বঞ্চিত হয়েছে অসহায় হত দরিদ্র মানুষ।

তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, গ্রামবাসীরা আমার বরাবরও অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে আমি চাল বিতরণ কমিটির একজন সাধারণ সদস্য। তাই কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করব। এ বিষয়ে ৮ নং ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেন নি।

বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত হত দরিদ্ররা যেন বঞ্চিত না হন তার দাবি জানান গ্রামবাসী। জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে গ্রামবাসীকে আশ্বাস দেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে,  কেন গ্রামের লোকসংখ্যা অনুযায়ী কার্ড বিভাজন করা হলো? একটি গ্রামে যদি হত দরিদ্র মানুষ না থাকেন তবে ওই গ্রামের মানুষ কি কার্ডের অন্তর্ভুক্ত হবেন ? বা একটি গ্রামে যদি সবাই হত দরিদ্র হন তবে তারা সবাই কি কার্ডের অন্তর্ভুক্ত হবেন না? তাই গ্রামের লোকসংখ্যা অনুযায়ী বিভাজন না করে পুরো ইউনিয়নের মানুষের দারিদ্রতার সীমা অনুযায়ী কার্ড বিভাজন করাই শ্রেয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল। ####

Leave a comment