ওয়ান সুটারগান ৩ রাউন্ড গুলি ও দুটি রামদাসহ তিন সন্ত্রাসী গ্রেফতার

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা থানা পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও বড় রামদাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদের নেতৃত্বে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জিয়াউল হক ও এএসআই মুহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কার্পাসডাঙ্গা-মুন্সিপুর সড়কের কার্পসডাঙ্গা খ্রিস্টান মিশনপল্লির অদূরে একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে থেকে তাদেরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও তিন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। পরে আটক ওই তিন সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক কার্পাসডাঙ্গার মিশনপাড়ার কবরস্থানের মধ্য থেকে একটি সচল ওয়ান সুটারগান, থ্রিনটথ্রি রাইফেলের তিনটি তাজা গুলি, ১টি বড় ছোরা এবং ১টি বড় রামদা উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের আইনাল হকের ছেলে মফিজুল ইসলাম মফি (২৫), একই উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার শওকত আলী মাস্টারের ছেলে মিঠু (৩০) এবং কার্পাসডাঙ্গা কলোনির ইয়াছনবীর ছেলে আলামিন (২৪)। এ ঘটনায় এসআই জিয়া বাদী হয়ে মোট ৬ জনের নামে গতকাল বুধবার দুপুরে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অপর তিন আসামিরা হলেন- পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), একই গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে মোক্তার আলী (২৮) এবং মৃত সুলতানের ছেলে জব্বার আলী।

দামুড়হুদা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ৮-১০ জন সন্ত্রাসী কার্পাসডাঙ্গা-মুন্সিপুর সড়কের কার্পসডাঙ্গা খ্রিস্টান মিশনপল্লির অদূরে সড়কে ছিনতাইসহ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদের নেতৃত্বে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জিয়াউল হক ও এএসআই মুহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কার্পাসডাঙ্গা-মুন্সিপুর সড়কের কার্পসডাঙ্গা খ্রিস্টান মিশনপল্লির অদূরে একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে থেকে তাদেরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটক ওই তিন সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতরা রাতে সড়কে ছিনতাইসহ ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলো। তাদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ প্রায় হাফডজন মামলা রয়েছে। এছাড়া গত ৩ অক্টোবর রাতে ওরাই টহল পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিলো। মামলার বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে আটক আসামি মিঠুর মেজভাই কার্পাসডাঙ্গা দোকান-মালিক সমিতির সহসভাপতি আলমগীর রাসেল জানিয়েছেন, তার ভাই মিঠু রাত ৯টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা কাস্টমস মোড়ে শুকুর আলীর চায়ের দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সে সারাদিন আমার দোকানেই থাকে। সে মাঝে মধ্যে একটু আধটু গাঁজা সেবন করে এটা আমরা জানি। কিন্তু কোনো চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া মামলার অপর আসামি আলামিনের পিতা ইয়াছনবী বলেছেন, রাত ৮টার দিকে সে বাড়ির অদূরবর্তী বিল্লালের চায়ের দোকানে বসে থাকাকালীন পুলিশ তাকে আটক করে। এছাড়া মাস দুয়েক আগে তার ডানহাত ভেঙে যায়। বর্তমানে সে ভাঙা হাতের চিকিৎসা নিচ্ছে।

Leave a comment