আলমডাঙ্গার শিয়ালমারী গ্রামের কলেজছাত্রকে অপহরণ : অভিযুক্ত ইন্তাদুলকে নিয়ে গ্রাম্য সালিস

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার শিয়ালমারী গ্রামের প্রতিবেশী ইন্তাদুলের ষড়যন্ত্রে একই গ্রামের কুষ্টিয়া মেডিকেল স্কুলের ২য় বর্ষের ছাত্র আশিককে অপহরণ করে একদল যুবক। তাকে রাতে আটকে রাখা হয় আড়পাড়া নামক স্থানে। ছাত্রাবাসের অন্য ছেলের বুদ্ধিমত্তায় উদ্ধার করা হয় তাকে। এক অপহরককে আটক করলে অপহরণের হোতা ইন্তাদুলের ষড়যন্তের কথা স্বীকার করে। গতকাল শুক্রবার শিয়ালমারী গ্রামে সালিস করলে ইন্তাদুল দোষ স্বীকার করে মোচলেকা লিখে দেয়। কিন্তু গ্রাম্য মাতবরেরা বলেছেন, এটা অপহরণ মামলা, পুলিশ কেস গ্রাম্য সালিসে আপস সম্ভব নয়।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার শিয়ালমারী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আশিক (১৮) কুষ্টিয়া মেডিকেল স্কুলের ২য় বর্ষের ছাত্র। একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ৬ জন মিলে মেস করে থাকে তারা। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুষ্টিয়া বাবুর আলী গেটের কাছে থেকে আশিককে ৩/৪ জন যুবক তুলে নিয়ে যায়। বনফুল ফুডের গলি দিয়ে কোর্টপাড়া হয়ে আড়পাড়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে রাত ৯টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয় তাকে। মেসের ভাত রান্না করা খালার সাথে দেখা হলে তিনি বিষয়টি আচ করতে পেরে মেসের ছেলেদের কাছে ঘটনা খুলে বলে। মেসের ছেলেরাসহ স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু অপহরণ চক্র পিছু ছাড়ে না। কাউকে কিছু বললে সমস্যা হবে বলে সাসিয়ে দেয় চক্রটি। স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে এক অপহরক সাথে এসে মেসে একই রুমে অবস্থান করতে থাকে। সারারাত জেগে জেগেবিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে সে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে অপহরক ঘুমিয়ে পড়লে কৌসলে মেসের ছেলেদের অপরহনের কথা জানালে উক্ত অপহরককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, শিয়ালমারী গ্রামের ইব্রাহিম ওরফে লালুর ছেলে ইন্তাদুল তাদের অপহরণ করতে বলেছে। কথা বিশ্বাস না করলে অপহরক ইন্তাদুলের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে ইন্তাদুল বলে আশিককে ধরে আটকে রাখো, ওর বাপের অনেক টাকা আছে, মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার পর ছেড়ে দেবে। স্থানীরা প্রভাব দেখিয়ে অপহরক কে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে আশিকের পিতা মাতা কুষ্টিয়াতে গিয়ে ছেলেকে গ্রামে নিয়ে আসে। গত পরশু বৃহস্পতিবার সন্ধায় গ্রাম্য সালিসের আয়োজন করে। এ সময় গ্রাম্য মাতব্বর ইসমাইল, ইসলাম, আমছার, শান্তি, শাবান, লিটন ও সদুসহ স্থানীয় লোকজনের সামনে ইন্তাদুল অপহরণের সাথে জড়িত থাকার কথা আংশিক স্বীকার করে। গতকাল আবারও একই ঘটনা নিয়ে গ্রাম্য সালিসেরর আয়োজন করলে ইন্তাদুলে এমন ঘটনা আর ঘটাবে না ও কুষ্টিয়াতে এমন ঘটনা আবারো ঘটলে সে দায়ী থাকবে বলে মোচলেকা লিখে দিয়েছে অপহরক। বলে গ্রাম সূত্রে জানিয়েছে। তবে মাতবররা জানান এটা অপহরণ মামলা। পুলিশ কেস, আপস করার এখতিয়ার আমাদের নেই।