অবশেষে পাওয়া গেলো ঝিনাইদহের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের সেই নিখোঁজ ছাত্রী নুপুর খাতুনকে

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: অবশেষে পাওয়া গেলো ঝিনাইদহের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের সেই নিখোঁজ ছাত্রী নুপুর খাতুনকে। নুপুরের পিতা ঝিনাইদহের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিককে বলেন, গতকাল রোববার বিকেলে নুপুর ঝিনাইদহ শহরের গরুর হাটের রাস্তার বাম পাশের শেষ বাড়িটিতে নিজের ইচ্ছায় অবস্থান করে।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, ফেসবুকে, নিউজ পোর্টালে ঝিনাইদহের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের নিখোঁজ ছাত্রী নুপুর খাতুনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ঝিনাইদহ শহর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নুপুর অবস্থান করা বাড়ির মালিক নুপুরকে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ধানসিঁড়ি হোটেলের মালিক আমার বাবা। পরে ওই বাড়ির মালিক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ধানসিঁড়ি হোটেলের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে, নুপুরের পিতা, জৈনিক সাংবাদিক ঝিনাইদহের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেনের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে এসে ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকারের সামনেই নুপুরকে তার পিতার নিকটে হস্তান্তর করেন।

নুপুরের চাচা মনির বলেন, নুপুর পিতার নিকটে মোবাইলফোন কেনার টাকা চাইলে তার পিতা টাকা দিতে অস্বীকার করে। নুপুর রাগ ও অভিমান করে ওই বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ শহরের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের আবাসিক হল থেকে নুপুর খাতুন নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে আবাসিক হল থেকে বের হওয়ার পর থেকে নুপুর খাতুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ওই স্কুলের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন।

নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আমিন কাজী সাংবাদিককে বলেন, ঈদের ছুটি শেষে শনিবার সকালে নুপুরকে তার ভাই আলামিন আবাসিক হলে পৌঁছে দেয়। দুপুরে ও বিকেলে স্কুলে ক্লাসও করেছে নুপুর। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নুপুর অপহৃত না নিখোঁজ হয়েছে সেটা আমরা এখনও বলতে পারছি না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলের এক শিক্ষক মোবাইলে ঘটনাটি আমিন কাজীকে জানালে তিনি শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চান। সেসময় পরিচালক বিষয়টি অস্বীকার করেন।

উপায় না পেয়ে নুপুরের পিতা আমিন কাজী রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও পরিচালকের স্ত্রীসহ ৬ জনকে থানায় নিয়ে আসে। রাত ১টার দিকে পলাতক শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিকেলে অভিভাবকের মতো একজন লোকের সাথে সে চলে গেছে বলে স্থানীয়রা দেখেছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, নুপুর খাতুনের কোনো খোঁজ পেলে কালীগঞ্জের ধানসিঁড়ি হোটেল বা ০১৭১৩-৯২৬২৩৬ এই মোবাইল নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন তার বাবা আমিন কাজী।