রোয়াকুলি গ্রামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ধুরন্ধর রনি নিজেই পুলিশকে জানালো তার সাজানো অপহরণ নাটকের কাহিনি

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ধুরন্ধর রনি নিজেই পুলিশকে জানালো তার সাজানো অপহরণ নাটকের কাহিনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে সে তার অপহরণের মিথ্যা কাহিনি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলতে শুরু করে।

রনির দেয়া স্বীকারোক্তি পুলিশ মোটেও বিশ্বাস করতে পারেনি। পুলিশের ধারণা হয় রনি নিজেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এ নাটক সাজিয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ধুরন্ধর রনি। সে জানায়, তার বাপ তাকে বেশি করে টাকা দিতে চায় না। ১০-২০ টাকা করে দেয়। সে কারণে রনি নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে বাপের নিকট থেকে বেশি করে টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করে। সম্প্রতি সে তার দাদির নামে একটি মোবাইলফোনের সিম কেনে। ঘটনার দিন সে বাড়ি থেকে বের হয়ে গড়গড়ি যায় তার বন্ধু সোহাগের নিকট। তার নিকট থেকে সে একটি মোবাইলফোনসেট চেয়ে নেয়। পরে একই গ্রামের আব্দুল্লাহ নামের আরেক বন্ধুকে ডেকে নেয় তারা। তিনজন মিলে চুয়াডাঙ্গায় যায়। পরে নূরনগর স্টেডিয়াম মাঠে গিয়ে তারা এ অপহরণ নাটক সাজানোর পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক তারা রনির ফুফাতো ভাই সোয়ানকে মোবাইল করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের ধারণা- ৫ লাখ চাঁদা চাইলে ৫ হাজার পাওয়া যাবে। সেই টাকার ভেতর থেকে ১ হাজার টাকায় ১টা প্যান্ট কিনবে। আর বন্ধুরা মিলে ঘোরাঘুরি করবে। বাকি টাকা বাপকে ফেরত দেবে। বলবে চাঁদাবাজরা খাটের নিচে টাকা রেখে দিয়ে আমাকে বেধে রেখে চলে যায়। পরে আমি বাঁধনমুক্ত হয়ে বেডের নিচ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে এসেছি।

এ ঘটনায় পুলিশ রোয়াকুলি গ্রামের তৎকালীন বিডিআর’র চাকরিচ্যুত সদস্য মাহবুব, রনির বন্ধু সোহাগকে আটক করে থানায় নেয়। পরে অল্প বয়সের কারণে মুচলেকা নিয়ে সকলকে ছেড়ে দেয়া হয়।