স্টাফ রিপোর্টার: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে সহস্রাধিক যানবাহন। গতকাল শুক্রবার সন্ধানাগাদ মহাসড়কে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের সারি অন্তত আট কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদের ছুটি শেষে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মস্থলগামী অসংখ্য মানুষ ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ পড়ছে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। দীর্ঘ সময় আটকে থাকা সাধারণ বাসযাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।
এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ১৭টি ফেরির মধ্যে চারটি বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া দৌলতদিয়ার চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে দুইটি ফেরিঘাট নদী ভাঙনের কারণে শুক্রবার বিকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কে তীব্র যানজট থাকায় অনেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে গোয়ালন্দ বাজার আড়তপট্টি ও চর দৌলতদিয়া হয়ে বিকল্প সড়কে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। বিকল্প সড়কের নাজুক অবস্থায় যাত্রীরা নাকাল হচ্ছেন। যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। বিকেল ৫টার দিকে গোয়ালন্দ পৌর জামতলা এলাকায় ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাকচালক মনির হোসেন সারি ভেঙে সামনে আসার চেষ্টা করলে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র প্রকৌশলী এনামুল হক অপু জানান, তীব্র স্রোতের কারণে রুটের ১৭টি ফেরির মধ্যে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান চলতে পারছে না। এছাড়া মেরামতের জন্যে বৃহস্পতিবার রো রো ফেরি শাহ জালালকে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ হাতে না পাওয়ায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে ফেরি মাধবীলতা।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এই নৌরুটে মোট ১৫টি ফেরি সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। তীব্র স্রোতে বড় তিনটি ফেরি চলাচল করতে না পারায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।