মেহেরপুর দরবেশপুর ঈদগাহমাঠে উন্নয়নমূলক কাজের টাকা তোলাকে বিরোধ : মুসল্লিদের সাথে হাতাহাতি : দেশীয় অস্ত্রসহ আটক এক

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার পুরাতন দরবেশপুর ঈদগাহ মাঠের মেরামত ও উন্নয়ন কাজের জন্য টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে ঈদগাহে কতিপয় যুবকদের সাথে মুসল্লিদের বিরোধ বাধে। ওই যুবকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করলে মুসল্লিরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় মুসল্লিরা জনি নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবকদের ফেলে যাওয়া বেশ কিছু দেশি তৈরি ধারালে অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরাতন দরবেশপুর ঈদগাহ ময়দানে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঈদুল আজহার নামাজের পর ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন ও মেরামতের জন্য ঈদগাহ কমিটি মুসল্লিদের নিকট থেকে মুক্তহস্তে দান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং কিছু যুবককে দিয়ে টাকা-পয়সা তুলছিলেন। ওই সময় নয়ন আহমেদ লাল্টুসহ বেশ কয়েকজন যুবক টাকা তোলার বিরোধিতা করে। টাকা না দিলেও টাকা তোলার বিরোধিতা না করার জন্য আল হামদো নামের এক যুবক তাদের অনুরোধ জানায়। ওই সময় লাল্টুর নেতৃত্বে মোমিনুল, শাহীন, সেকেন্দার, রাসেল, জনি ও কেতুসহ তাদের পক্ষের কয়েকজন ঈদগাহ মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং কয়েক মিনিট পর সোড, ছুরি, দা, জিআই পাইপ, শাবল ও লাঠিসোঁঠা নিয়ে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করে। ওই সময় আল হামদো নামের যুবকের গলায় ছুরি ধরে কোরবানি করে ফেলবে বলে হুমকি দেয় জনি। ওই সময় মুসল্লিদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয় এবং এক পর্যায়ে তারা পালাবার চেষ্টা করে। মুসল্লিরা জনিকে আটক করে বারাদী পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছে জনিকে আটক করে ও ঘটনাস্থল থেকে দেশি তৈরি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।

বারাদী ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান জানান,  পুরাতন দরবেশপুর ঈদগাহ মাঠে সংঘর্ষ হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই এবং মেহেরপুর পুলিশ সুপারকে বিষয়টা জানালে তিনি ডিবি পুলিশের এসআই দেবাষিশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। আটক জনিকেসহ এ সময় সেখান থেকে উদ্ধারকৃত ২টি সোড, ২টি ছুরি, জিআই পাইপ, ২টি শাবলসহ লাঠিসোঁঠা থানায় পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দরবেশপুরে ঈদগাহে মুসল্লিদের সাথে জনিসহ যেসব যুবকদের টাকা তোলা নিয়ে বিরোধ বাঁধে তারা ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়।