গাংনীতে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহুতি!

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে আত্মহত্যা করেছে এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীতে প্রেমিক ইমরান হোসেন ও রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে মারা যায় প্রেমিকা সাবিনা ইয়াসমিন। মৃত্যুর কারণ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।

জানা গেছে, শালদহ গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষপান করে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার পেট থেকে বিষ অপসারণ করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

ইমরানের বিষপানের বিষয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকা সাবিনা ইয়াসমিনের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে তা স্পৃষ্ট হয়। সাবিনা খাতুন গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের মেয়ে। শালদহ গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে ইমরানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমরানের বিষপানের খবরে রাতেই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তার দুলাইভাই। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নানার বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সাবিনা ইয়াসমিন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করলে রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাবিনা ইয়াসমিন গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

এদিকে ইমরান ও সাবিনার প্রেমের বিষয়ে এখন এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। শালদহ গ্রামের কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা গোপনে বিয়ে করেছিলো বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিয়ে ও প্রেম সম্পর্ক পরিবার থেকে মেনে না নেয়ায় তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ইমরানের মৃত্যুর বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইমরানের লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। তবে সাবিনা ইয়াসমিনের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি অবগত হলেও গতরাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কুষ্টিয়া মেডিকেলের কোনো দাফতরিক বার্তা গাংনী থানায় পৌঁছায়নি বলে তিনি জানান। দুটি আত্মহত্যার বিষয়ে এবার তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন তিনি।