মেহেরপুরের বৈকন্ঠপুর ও বলিয়ারপুর পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার আদেশ বাতিলে স্মারক লিপি প্রদান

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার বৈকন্ঠপুর ও বলিয়ারপুর গ্রামের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার আদেশ বাতিলের দাবিতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ওই দুই গ্রামবাসী। এছাড়াও ক্যাম্পের জন্য গ্রামবাসীর দেয়া নির্ধারিত স্থানে ক্যাম্পের অবকাঠামো নির্মাণের দাবি জানান তারা।

গ্রামবাসীরা জানান, চরমপন্থি অধ্যষুত এলাকা হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রাম। ১৯৯৯ সালের ১৫ এপ্রিল ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক মহসীন আলী, ব্যাংক কর্মকর্তা রেহসীন আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আনসারুল আজিম ও পল্লী চিকিৎসক মুরাদ আলীকে জবাই করে হত্যা করে চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও এলাকায় আতঙ্কের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময়ে গ্রামের মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এছাড়াও একই উপজেলার বৈকন্ঠপুর গ্রামে একই সময়ে সন্ত্রাসি ও মাদকব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। ওই সময়ে এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এর পরপরই ওই দুই গ্রামবাসী সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশ ক্যাম্প দুটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে রূপান্তরিত করার জন্য আবেদন করে আসছেন। সেই লক্ষ্যে বৈকন্ঠপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ৫৮ শতক ও বরিয়ারপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ৬৬ শতক জমি ক্যাম্পের জন্য প্রদান করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে ক্যাম্পের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়নি। অথচ গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি আসছিলো ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে ক্যাম্প দুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু তা না করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় থেকে পুলিশ ক্যাম্প দুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্পগুলো অপসারণ করা হলে চরমন্থিরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা করছে এলকাবাসী। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য যেমন বিদ্যালয় প্রয়োজন, ঠিক তেমনি জনগণের নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পও প্রয়োজন। তাই পুলিশ ক্যাম্প বাতিল না করে নির্ধারিত স্থানে অবকাঠামো নির্মানের দাবি জানান তারা। জেলা প্রশসাক পরিমল সিংহের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।