চুয়াডাঙ্গায় গ্রিলকেটে ঘরে ঢুকে বেকায়দায় পড়ে চোর খেয়েছে হারপিক!

 

স্টাফ রিপোর্টার: জানালার গ্রিলকেটে ঘরে ঢুকে বেচারা চোর বেকায়দায় পড়ে বাথরুমের হারপিক খেয়ে-মেখে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুটোর দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়া বুদোমিয়ার আমবাগানপাড়ায়।

ঘরের জানালা কেটে ঘরে ঢুকে বেকায়দায় পড়ে চোর বাথরুমে আশ্রয় নেয়া চোরকে শেষ পর্যন্ত ঘরের দরজার তালা ভেঙে টেনেহেঁচড়ে বের করা হয়। ক্ষুব্ধ জনতা পিটুনি শুরু করলেও শহর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল ওহিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাড়ির মালিক পলাশপাড়ার আব্দুর রবের ছেলে আক্তারুজ্জামান মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার কম্পিউটার প্রশিক্ষক আক্তারুজ্জামান বড়বাজারে ছিলেন। তার স্ত্রী জোবাইদা খাতুন চাকরির সুবাদে ছিলেন জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের তিনি শিক্ষিকা। একমাত্র কন্যা গতকাল ছিলো একইপাড়ার নানিবাড়ি। জনশূন্য বাড়ির জানালার গ্রিলকেটে দিনে দুপুরে ভেতে প্রবেশ করে আনুমানিক ২৫ বছরের এক যুবক। দৃশ্য দেখে প্রতিবেশী এক নারী চিৎকার শুরু করেন। এলাকাবাসী ছুটে যান। বাড়ির মূল দরজায় তালা, জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা যুবকের সাড়া নেই। উপায় না পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়ার পাশাপাশি ঘরের দরকার তালা ভেঙে চোর খুঁজতে শুরু করে। ততোক্ষণে ওই যুবক বাথরুমে ঢুকে হারপিক খেয়ে-মেখে বসে থাকে। সেখান থেকে তাকে টেনেহেঁচড়ে বের করে শুরু হয় পিটুনি। ততোক্ষণে সেখানে পৌঁছান টিএসআই। তিনি যুবককে আমজনতার হাত থেকে রক্ষা করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, হারপিক মুখে কিছুটা দিলেও মূলত মেখে অসুস্থতার ভান করছে। তবুও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় টিএসআই তাকে হাতকড়া পরিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নেন।

ধরাপড়া যুবক পরিচয় দিতে নাম বলেছে, রানা, পিতার নাম আব্দুল জব্বার। বাড়ি যশোর স্টেশনপাড়া। পুলিশ এ ঠিকানার সত্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই যশোরে কোতয়ালি থানায় বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।