দেশের টুকিটাকি : মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গ্রেফতার

১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়?

স্টাফ রিপোর্টার: ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের শর্ত পূরণ না হওয়ার পরও ১৫৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করায় দশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত এক লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও অ্যক্ষকে ২১ অগাস্টের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আপিল বিভাগ। ওই ১৫৩ শিক্ষার্থীকে প্রথম পর্বের পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেয়ার আদেশও আদালত স্থগিত করে দিয়েছে। দশ প্রতিষ্ঠান হল- শমরিতা মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ, জয়নুল হক শিকদার মেডিকেল কলেজ, এআর মেডিকেল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, তাইরুন নেছা মেডিকেল কলেজ, আইচ মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশিয়ান মেডিকেল কলেজ। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ২০০’র মধ্যে ১২০ নম্বর পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা যাবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো। ওই শর্ত পূরণ না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া ১৫৩ শিক্ষার্থীর প্রথম পর্বের (ফার্স্ট প্রফেশনাল এক্সামিনেশেন) রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র আটকে দেয়।

ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে আসছে মডেল ফার্মেসি

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে মডেল ফার্মেসি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মডেল ফার্মেসির এই পাইলট প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) এসব ফার্মেসি চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছরের মধ্যেই অন্তত ১৫০টি এ গ্রেড এবং ২০০০ বি গ্রেড ফার্মেসি আনতে পারবো বলে আশা করি। এসব দোকান ফার্মাসিস্ট নিয়োগসহ ওষুধ বিক্রির সব ধরনের মান বজায় রাখবে। তারা যে ওষুধ বিক্রি করছে সেই ওষুধ সম্পর্কে ক্রেতাদের সংক্ষিপ্ত ধারণাও দেবে। ডা. মুস্তাফিজুর বলেন, যদি সফল হই, আমরা এটাকে ধীরে ধীরে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবো। এ ব্যবস্থা ভুয়া ও নকল ওষুধ বিক্রি ঠেকাবে বলে মনে করেন তিনি।

৩৪তম বিসিএস : প্রাথমিকে ৮৯৮ জনকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

স্টাফ রিপোর্টার: চৌত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে ৮৯৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা করলে এবং যাচাই বাছাইয়ের পর তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হবে। ৩৪তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে থেকে ২ হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন। চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১তম বিসিএস থেকে। বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার। ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এর আগে কয়েকশ প্রার্থীকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত ৩৪তম বিসিএস থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে চান তাদের আলাদাভাবে কমিশনে আবেদন করতে হয়েছিলো। এসব আবেদনকারীর মধ্য থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলো।

মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: ক্ষমতার অপব্যবহার করে অগ্রণী ব্যাংকের ১০৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য এ খবর নিশ্চিত করেছেন। দুদকসূত্রে জানা গেছে, কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি জমিতে ভবন নির্মাণের নামে আয়-ব্যয়ের ভুয়া হিসেব দেখিয়ে তিনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১০৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। পরে এ ব্যাপারে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুদক একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিজানুর রহমান ১০৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। প্রণব ভট্টাচার্য আরও জানান, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ওই মামলা তিনটিতে তার বিরুদ্ধে আরো ১১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হবে। দুদকের তদন্তকর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় এ মামলা দায়ের করবেন।