মোস্তাফিজ কচি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের এক সময়ের দাপুটে গ্রাম পুলিশ জবেদ আলী জীবনের শেষ বেলায় এসে ভিক্ষাবৃক্তিতে নামতে বাধ্য হয়েছেন। ৮০ বছর বয়স হলেও মেলেনি একটি বয়স্ক ভাতা’র কার্ড। সন্তান-সন্ততি থাকলেও অভাবের কারণে তারাও বাবা মায়ের কোনো খোঁজখবর নেয় না। তাই জীবন বাচাঁনোর তাগিদে জীবনের শেষ বেলায় এসে হাতে তুলে নিতে হয়েছেন ভিক্ষার ঝুলি। এভাবে মানবেতর জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এ দম্পতি। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লার যুগীরপাড়ার কটাই মণ্ডলের ছেলে জবেদ আলী (৮০) চাকরি করতেন গ্রাম পুলিশের। মাত্র ৭শ টাকা বেতন ভাতা পেতেন। ৯০ সালের শেষের দিকে গ্রামপুলিশ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। সংসারে রয়েছে স্ত্রী, ২ ছেলে ৩ মেয়ে। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অভাবের কারণে আলাদা আলাদা সংসার করছে। অশীতিপর বৃদ্ধ গ্রামপুলিশ জবেদ আলী ও তার স্ত্রী হয়ে হয়ে গেছে সন্তানদের কাছে বোঝা। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে যা সামান্য খাবার পাই তা দিয়েই খেয়ে না খেয়েই চলে তাদের জীবন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন গ্রাম পুলিশ ছিলাম তখন গ্রামের মানুষদের উপকারতো করেছিই। কোনোদিন কারও অপকার করিনি। একটি বয়স্ক ভাতা’র কার্ড পেলেও তো ডাক্তারের ওষুধের খরচটাও চলত। জীবন বাঁচানোর তাগিদে তাই শেষ প্রান্তে এসে বাধ্য হয়েই তুলে নিয়েছি ভিক্ষার ঝুলি। সমাজের সকলের নিকট সাহায্য সহযোগিতা ও বয়স্ক ভাতা’র কার্ড পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগর মহোদয়, উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানেরর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া বৃদ্ধ গ্রামপুলিশ জবেদ আলী।