বিশ্ব টুকিটাকি : স্বামী পেটানোয় বিশ্বে এক নম্বর মিশরীয় নারীরা

স্বামী পেটানোয় বিশ্বে এক নম্বর মিশরীয় নারীরা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: স্বামী পেটানোয় বিশ্বে এক নম্বর অবস্থান দখলে রেখেছেন মিশরীয় নারীরা। তাদের পরেই রয়েছেন যুক্তরাজ্য এবং ভারতীয় নারীরা। জাতিসংঘের অপরাধ পরিসংখ্যানে এমন এক চিত্র ওঠে এসেছে।

মিশরীয় ফ্যামিলি কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, স্বামীকে নির্যাতন ও মারধর করেন এমন স্ত্রীদের ৬৬ ভাগই আবার ফ্যামিলি কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্সের আবেদন করে থাকেন। এক্ষেত্রে স্ত্রীকে বিচারের মুখোমুখি করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না বেচারা নির্যাতনের শিকার স্বামীদের। এ ধরনের মামলা প্রায় ৬০০০ বলে জানিয়েছে ফ্যামিলি কোর্ট।

তথ্য অনুযায়ী, স্বামীকে পেটানোর ক্ষেত্রে কেবল হাত ব্যবহার করেই ক্ষান্ত দেন না স্ত্রীরা। এক্ষেত্রে তারা বেল্ট, রান্নায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র, জুতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্ত্রও ব্যবহার করেন। এমনকি স্বামীকে পেটানো এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কাজ নির্বিঘ্নে করতে অনেক সময় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন স্ত্রীরা।

জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠানের তহবিলের তদন্ত হবে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (আইআরএফ) তহবিল তদন্ত করা হবে। বিষয়টি জানিয়ে আইআরএফকে নোটিশ পাঠিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সোমবার ওই নোটিশ জারি করা হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় পত্রিকা দ্য হিন্দু এ খবর প্রকাশ করেছে। ভারতের আইন অনুযায়ী, কোনো এনজিও বা সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এমন নোটিশ জারি করা হয়ে থাকে। ভারত সরকার জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ প্রথম কোনো আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের কয়েকজন জাকির নায়েকের বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এফসিআরএর আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে মুম্বাইভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও আইআরএফ এডুকেশনাল ট্রাস্ট। জাকির নায়েকের এ দুটি এনজিও গত এক দশকে ১০ কোটি রুপির বেশি বিদেশি সহায়তা পেয়েছে। এসব তহবিল এসেছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

পদ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মহত্যা!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য অপসারিত কালিখো পুলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ইটানগরে মুখ্যমন্ত্রী আবাসেই সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে মারা যান তিনি। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছিলো, কালিখো পুল যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, তা অসাংবিধানিক।  ওই রায়ের পরেই ১৩ জুলাই তাকে সরে যেতে হয়েছিলো পদ থেকে। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী আবাসেই থাকছিলেন এখনও। নাটকীয়ভাবে এ বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ৪৭ বছর বয়সী পুল। গত নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেসেরই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু বেশিরভাগ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকিকে অপসারিত করেন। রাজ্যপালের সমর্থন নিয়ে বিধানসভার বাইরে একটি হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট হলে আয়োজন করা হয়েছিলো বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। সেখানেই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী পিপলস পার্টি অব অরুণাচল দলের সাথে মিলে নতুন দলনেতা হিসেবে পুলকে বেছে নেয়। তার শপথও নেয়া হয়ে যায়। কংগ্রেস দল অভিযোগ তোলে, রাজ্যপালকে দিয়ে বিজেপি তাদের সরকার ভেঙে দিয়েছে আর হাতের পুতুলের মতো এক নতুন সরকার তৈরি করেছে। পরে ১৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, ওইভাবে বিধানসভার অধিবেশন বসানো যায় না। পুলের নির্বাচনের পদ্ধতিটাই অসাংবিধানিক। আগের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকিকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

কোয়েটায় হামলার পর আইনজীবীদের ধর্মঘট

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কোয়েটায় একটি হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহতের ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্মঘট শুরু করেছেন পাকিস্তানের আইনজীবীরা। গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা দেশজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (এসসিবিএ) এবং পাকিস্তান বার কাউন্সিলের (পিবিসি) পক্ষ থেকে বলা হয়, আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রম বয়কট করবে এবং এক সপ্তাহ ধরে শোক পালন করবে। সোমবার সকালে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় সিভিল হাসপাতালে বোমা হামলায় ৯৩ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ১২০ জন আহত হয়। হাসপাতাল কর্মীরা জানিয়েছে, নিহতদের ৬০ জনই আইনজীবী। ওইদিন বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিলাল আনওয়ার কাসি অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর আইনজীবী ও সাংবাদিকরাসহ বহু শোকাহত মানুষ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড় হয়েছিলো। ওই ভিড়ের মধ্যেই আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। কোয়েটায় আদালত প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে কাসিকে গুলি করা হয়েছিলো। এক সময়কার পাকিস্তানি তালেবান-র অংশ জামাত-উল-আহরার হাসপাতালে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২ বছর আগে দলটি তালেবান থেকে আলাদা হয়ে যায়।

সালমানের বাড়িতে শোয়েব আখতারের কী কাজ?

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার যখনই ভারতে যান, একবার হলেও বলিউড তারকা সালমানের বাড়িতে ঢুঁ মারেন। এটি কোনো সংবাদমাধ্যমের মনগড়া তথ্য নয়, শোয়েব নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যখনই ভারতে আসা হয়, সালমানের বাড়িতে যাই। আসলে সালমান নয়, ওর মা-বাবার সাথে দেখা করতে যাই আমি। তারা ভালো মানুষ। আর সালমান ও তার ভাইকে আমার খুব ভালো লাগে। কেননা ওরা মা-বাবাকে দারুণ সম্মান করে।’ সালমনের বাবা একসময়ের নামকরা চিত্রনাট্যকার সেলিম খানকে অতিথিপরায়ণ বলে মন্তব্য করে শোয়েব বলেন, ‘যখনই বাড়িতে কেউ যায়, তিনি খুশি মনে স্বাগত জানান। তিনি খুবই উপকারী ও মহান ব্যক্তি।’ বর্তমানে কমেডি শো ‘মজাক মজাক মে’র জাজের ভূমিকা পালন করছেন শোয়েব আখতার।