গাংনীর ভরাট গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১২

 

গাংনী প্রতিনিধি: বাড়ির পথের বেড়া দেয়া কেন্দ্র করে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে গাংনী ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার উত্তর ভরাটে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতের মধ্যে মৃত সেয়দ হালসনার ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন (৬০) ও তার ছেলে রিংকু মিয়া (৩০), রিংকুর স্ত্রী শাপলা খাতুন (২৫), মোফাজ্জেলের মেঝ ছেলে আশরাফুলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩৮) ও নাতি হাসি খাতুন (১৫) এবং মেয়ে তাসলিমা খাতুনকে (৩৮) গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর পক্ষের মৃত আফসার মণ্ডলের ছেলে আব্দুল হালিম (৩৫) ও আব্দুর রশিদকে (৬০) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন ও তার চাচাতো ভাই আব্দুর রশিদ পরিবারের মধ্যে বাড়ির পথ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পথে বেড়া দিয়ে যাতায়ত বন্ধ করে দেয় আব্দুর রশিদ পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে সকাল থেকেই দুই পরিবারের নারীদের মাঝে তুমুল ঝগড়া চলছিলো। দুপুরে পরিবারের পুরুষ মানুষগুলো বাইরে থেকে বাড়ি আসলে নারীরা ঝগড়ার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এ নিয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের মাঝে উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় পরিবারে লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারলো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আব্দুল হালিম ও তার ভাই আব্দুর রশিদকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহতদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ও লাঠিসোটার আঘাত পাওয়া গেছে বলে জানান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মকবুল হোসেন।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।