স্টাফ রিপোর্টার: অর্থ আত্মসাত ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, পাবনা ও ময়মনসিংহ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ বিভাগে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল পদে ভর্তি ও যোগদানপূর্বক চাকরি করার অপরাধে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ গতকাল সোমবার পাবনা জেলার চাঁদাখাঁর বাঁশতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। এই ১৯ জনের নাম আইয়ুব আলী (কং/২৯৮৫৫, টিআরসি-৪৫৫), কামরুল ইসলাম (কং/২৬৬৬, টিআরসি-২৭১), আব্দুল কুদ্দুছ শেখ (কং/২৯৫৪০, টিআরসি-৫০০), আলী আব্বাছ (কং/২৯০৮৩, টিআরসি-৫০১), মোহাম্মদ আলী (কং/২৯৯১৯, টিআরসি-১০৫), সবুজ মিয়া (কং/২৬৩১, টিআরসি-১৭১), আবু হানিফ (কং/২৬৩০, টিআরসি-১৭০), সাইফুল ইসলাম (কং/২০৫৯২, টিআরসি-২১৪), ফেরদৌস (কং/১৫০৯১, টিআরসি-৯২), সাইফুল ইসলাম (কং/১৪২৮০, টিআরসি-৫০৭), হায়দার আলী (কং/২৯৪৬০, টিআরসি-২৩০), বুদ্ধি মিয়া (কং/২৭৫৯, টিআরসি-৩৭২), সুমন কুমার সরকার (কং/২৭৪৬, টিআরসি-২১৬), শহিদুল ইসলাম (কং/২৯৯৬৩, টিআরসি-২৬৭), আব্দুল আউয়াল ( কং/২৪৬০৯, টিআরসি-৫৮২), আমিরুল ইসলাম (কং/২৩০৬২, টিআরসি-৪১), আল আমিন (কং/১৯২৭৪, টিআরসি-৪৮৩), সোহেল রানা (কং/২০৭০২, টিআরসি-৩২), সুমন আহম্মেদ (কং/২০৮৮১, টিআরসি-৫৮)। এ মামলায় তাজুন্নাহার নামে আরেক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সাবেক সোশিওলজিস্ট।
এদিকে পেনশনারদের নামে জমাকৃত ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাতের মামলায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা হিসাবরক্ষক মোখলেসুর রহমান ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহ থেকে আনসার উদ্দিনকে এবং ৪৫০ শতাংশ ভূমি আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইলের বাসিন্দা আব্দুল কাদের মিয়া ও শুকুর মামুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।