উপর্যুপরি কোপ : মৃত্যুশয্যায় বৃদ্ধ ওসমান

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা পারদুর্গাপুরে পানের পড় কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসমান গনি ও জাহিদুল ইসলাম নামের দু পক্ষের দুজন গুরতর আহত হয়েছেন। তবে আহত বৃদ্ধ ওসমান গনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে এ মারামারির ঘটনা ভিন্নখাতে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে ওসমান গনির মেয়ের অভিযোগ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের পারদুর্গাপুর গ্রামে দুটি পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে গণ্ডগোল চলে আসছিলো। এরই মধ্যে গত শুক্রবার রাতে গ্রামের মৃত নুর আলীর ছেলে বৃদ্ধ ওসমান গনির (৬০) বরজের বেশ কিছু পড় কে বা কারা রাতের আঁধারে কেটে দেয়। পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওসমান গনি একই গ্রামের সাইফুল শেখের ছেলে মোস্তাক আলীকে ডেকে পানবরজ দেখান এবং পড় কাটার দোষারোপ করেন। এ সময় দুজনের মধ্যে উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়। এরই মধ্যে মোস্তাকদের বাড়িতে খবর যায় মোস্তাককে জোর করে ধরে নিয়ে গেছে ওসমান। এ খবর শুনে মোস্তাকের পক্ষের ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বরজের কাছে গিয়ে ওসমানের ওপর হামলা চালায়। ওসমানের মাথা, ঘাড়ের নিচে ও পায়ে কোপ লাগে। অবস্থা বেগতিক দেখে ওসমানও একটি কোপ মারে। কোপটি লাগে সাইফুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলামের (৩২) গায়ে। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। দুজনের শরীরেই একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়। বৃদ্ধ ওসমান গনিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তার অবস্থা দেখে হাসপাতালের ডাক্তার সাথে সাথে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। ওসমান গনির ছেলে ফরিদ জানান, তার পিতার মাথা ও ঘাড়ের নিচে জোরালো কোপ লেগেছে। পায়েও কোপানো হয়েছে। তিনি বলেন ঘাড়ের নিচেই ২৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং মাথায় কোপানোর কারণে ওসমান গনি বমি করছেন। ফরিদ জানান, আমাদের সাড়ে ৩ বিঘা জমির পান বরজ পরিচর্যার অভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আমার জমিতে যেতে পারছি না। ওসমান গনির মেয়ে রাবেয়া খাতুন বলেন, পানবরজ নিয়ে মারামারির ঘটনা ভিন্নখাতে দিয়ে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্র জানায়, রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে গতরাতে আলমডাঙ্গা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। রাবেয়ার দাবি, আমরা চাই ঘটনা যা-ই ঘটেছে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।