পিতা শহরের যে রোডের নৈশপ্রহরী ছেলে করে সেখানেই চুরি

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বাপ শহরের যে রোডের নৈশপ্রহরী আর ছেলে করে সেখানেই চুরি। এমন ঘটনা ঘটছে আলমডাঙ্গা শহরে। গতকাল চোরাই মালামালসহ বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ চোর ছেলেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরঘেষা মসজিদপাড়ার বকুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শহরে নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করেন। ছেলে সুমনের (২৫) বিরুদ্ধে মাদকব্যবসা অভিযোগ ছিলো বেশ উচ্চকিত আর কানা-ঘোষা ছিলো চুরি ছিনতাইয়ের।

আলমডাঙ্গা শহরের কাউসারের ছেলে মিন্টুর দোকানে সম্প্রতি এক রাতে অভিনব কৌশলে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পাখিভ্যানের টায়ার কেনার অজুহাতে কতিপয় যুবক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঢুকে জোরপূর্বক ক্যাশড্রয়ার থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনাটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে সকলেই কমবেশি অবগত হয়। কয়েকদিন আগে শহরের সাদাব্রিজের নিকটের এক ব্যবসায়ী গিয়ে মিন্টুকে জানায় এক যুবক গিয়ে মাঝেমধ্যে তার ঘরে কম দামে কিছু কিছু মালামাল বিক্রি করে আসে। সে সকল মালামাল মিন্টুর ঘরের কি-না তা জিজ্ঞেস করে। মিন্টুর দোকানের মালামাল মাঝেমাঝেই চুরি হচ্ছে এ কথা জানিয়ে মিন্টু আগামীতে মালামাল বিক্রি করতে গেলে বিক্রেতার ছবি কৌশলে তুলে রাখতে অনুরোধ করেন। গতকাল ওই ব্যবসায়ী চোরাই মাল বিক্রেতার ছবি তুলে মিন্টুকে দেখাতে গেলে মিন্টু চোরকে শনাক্ত করেন। এ আর কেউ নয়, তার বাড়ির নিকটের ছেলে। শহরের নৈশপ্রহরী বকুলের ছেলে সুমন। যাকে তিনি আগেই সন্দেহ করতেন। এ বিষয়ে মিন্টু আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে অবগত করেন। বণিক সমিতির পক্ষ থেকে সুমনকে ধরে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশের নিকট সে চুরি-ছিনতাই ও মাদকব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। সে পুলিশকে রোড ডাকাতি সম্পর্কেও কিছু তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। আজ রবিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।