দর্শনার দক্ষিণচাঁদপুর গ্রামে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা : আপসরফার চেষ্টা

 

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ায় আত্মহত্যা করেছে। ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে লোকলজ্জার ভয়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। অভিযুক্ত ধর্ষককে রক্ষার জন্য একটি পক্ষ জোর চেষ্টা চালালেও শেষপর্যন্ত তা সফল হয়নি। পুলিশ স্কুলছাত্রী সাথীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করিয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ধর্ষক ইসরাফিলের পরিবারের লোকজন ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপসরফা করেছে বলে গ্রামসূত্রে জানা যায়।

জানা গেছে, দামুড়হুদার উপজেলার দর্শনা পৌরসভাধীন দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে নীলিমা আক্তার সাথী (১২) ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়িতে মঙ্গলবারে কেউ ছিলো না। এই সুযোগে একই গ্রামের জদুর ছেলে ইসরাফিল ওরফে বাবু ঘরে ঢুকে সাথীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রতিবেশী এক নারী আশপাশে জানিয়ে দেয়। সাথী লোকলজ্জার ভয়ে ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘরের আড়ায় নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে সাথীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবার আপসরফার চেষ্টা চালায়। কেউ কেউ বলেছেন, তারা সাথীর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিটিয়ে ফেলেছে। কিন্তু গতকাল বুধবার সকালে থানা পুলিশ গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, সুরতহাল রিপোর্টের সময় ধর্ষণের সন্দেহ হওয়ায় সাথীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়। এ সময় প্রয়োজনীয় আলামতও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a comment