খাইরুজ্জামান সেতু: মেঘ গুড় গুড়? না। ঝড়ো বাতাস? তাও না। তা হলে কীসের জন্য চুয়াডাঙ্গায় দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুতবিহীন অন্ধকার? ওজোপাডিকোর চুয়াডাঙ্গা বিতরণ বিভাগের কর্তা ফোনে বললেন, গ্রিড সাব স্টেশনে বিতরণ লাইনে ফল্ট। এ কারণেই গতরাত সোয়া ১১টায় চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরে বিদ্যুত সরবরাহের সকল ফিডার বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। গ্রাহক সাধারণকে থাকতে হয়েছে নিকোশ অন্ধকারে।
ত্রুটি শনাক্ত করে তা মেরামতের পর চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরে বিদ্যুত সরবরাহ স্বভাবিক করতে রাত ১টা ২০ মিনিট লেগে যায়। ততোক্ষণে ভ্যাপসা গরমে হাপিত্যেস শুরু হয় জেলা শহরের ঘরে ঘরে। অবশ্য অর্থশালী পরিবারগুলোর মধ্যে যাদের বাড়িতে আইপিএস আছে তাদের তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। সাধারণ বিদ্যুত গ্রাহকদের অনেকেই ফোনে বিদ্যুত না থাকার কারণে ক্ষোভ উগ্রে দিয়ে বলেন, ভ্যপসা গরমে বিদ্যুত নেই। কেনো নেই তা জানার জন্য চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের অভিযোগ/অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন করলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যস্ত পাওয়া যায়। ক্ষুব্ধ গ্রাহক সাধারণের অভিযোগ, অনুসন্ধান-অভিযোগ কেন্দ্রের ফোনটি ইচ্ছে করে তুলে রাখা হয়। এ বিষয়ে পূর্বেও পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট নালিশ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
বিদ্যুত গ্রাহক সাধারণের অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য ঝড়ে গাছের পাতা ঝরতে না ঝরতেই বিদ্যুতের রুগ্ন দশা ফুটে ওঠে। কাপতে কাপতে থেমে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুত সরবরাহ। আর যদি একটু ঝড়ো বাতাসে গাছের ডাল ভাঙলে তো কথাই নেই। কদিন পর বিদ্যুত পাওয়া যাবে তার হিসেব থাকে না। একটু আগে ভাগে নিজ এলাকার বিদ্যুত পেতে তদবির করতে গেলেই গুণতে হয়ে বকশিষের নামে মোটা অঙ্কের টাকা। ঝড় নেই, বৃষ্টি নেই অথচ চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুত উধাও। কারণটাও জানার জো নেই। টেলিফোনটা তুলে রাখা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরে বিদ্যুত গ্রিড সাব স্টেশনে বিদ্যুতের মান বাড়িয়ে বিতরণের জন্য ওজোপাডিকোর চুয়াডাঙ্গা বিতরণ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে আঞ্চল ভিত্তিক ফিডারের মাধ্যমে পৌঁছুনো হয় গ্রাহকদের নিকট। গতরাতে যেমন ভ্যপসা গরম, তেমনই বিদ্যুতের বেহাল দশা। রাতে হাসফাঁস অবস্থার পর রাত সোয়া ১টায় বিদ্যুতের দেখা মিললে স্বস্তি ফেরে। এ সময় অবশ্য কেউ কেউ মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, তাও ভালো রাতেই ত্রুটি শনাক্ত করে চেষ্টা তদবিরে মেরামত করতে পেরেছে।