ঝিনাইদহে মঙ্গা প্রকল্পের ৭টি পুকুর খননে দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার: জেলা মৎস্য অফিসের অধীন ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি টাকায় পুকুর খনন কাজে চরম দুর্নীতি হয়েছে। যেনতেনভাবে কাজ করে বরাদ্দকৃত টাকা প্রকল্প কমিটির সভাপতি তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে প্রকল্প সভাপতিদের দাবি জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ১৫ ভাগ টাকা ঘুষ দেয়ার কারণে তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেননি।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত অর্থবছরে মঙ্গা প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহে বিল-বাঁওড় ও নদীর মধ্যে পুকুর খনন বাবদ ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী বেগবতী নদীর মধ্যে ২টি পুকুর খনন বাবদ ৬ লাখ টাকা, মহেশপুর সস্তার বাঁওড়ে পুকুর খনন বাবদ ১০ লাখ টাকা, শৈলকুপার কন্যাদহ বিলে পুকুর খনন বাবদ ৭ লাখ টাকা, শৈলকুপার কালীমরা নদীতে পুকুর খনন কাজে ৩ লাখ টাকা ও ঘোড়শাল ইউনিয়নের পিরোজপুর খালে পুকুর খনন বাবদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। মঙ্গা কবলিত জেলা না হলেও রাজনৈতিক তদবিরে এই প্রকল্প পাস করিয়ে আনা হয় ঢাকা থেকে।

সূত্র মতে এসব প্রকল্প পাস করিয়ে আনতেও টাকা খরচ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকল্প সভাপতি জানান, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত টাকা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত আমাদের কোনো লাভ থাকে না। তাই পুকুর কাটার নামে যে টুকু করা দরকার তাই করা হয়েছে। সরেজমিন বেগবতি নদী ও সস্তার বাঁওড়ের পুকুর খনন পর্যবেণ করে দেখা গেছে, যেনতেনভাবে কাজ করে জুন মাসে সমুদয় বিল তুলে নেয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে কেউ পুকুর খনন করেনি। ঝিনাইদহ সদরের মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর মালিথা জানান, আমার ইউনিয়নে দুইটি পুকুর খননের কাজ আমার ভাতিজা করছে। তিনি কিছুটা অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, জেলা মৎস্য অফিসার আকতার উদ্দীনকে ১৫ ভাগ টাকা দিতে হয়েছে। তা না হলে তিনি বিল দিচ্ছিলেন না। তিনি আরো জানান, সব পিআইসিদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। ঘাটে ঘাটে টাকা দেয়ার কারণে পুকুরের মাটি কেটে গভীর করা যায়নি। বাড়েনি আয়তন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য অফিসার আকতার উদ্দীনের মোবাইলফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।