খেলার সকল খবর

ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ!

স্টাফ রিপোর্টার: অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা বাংলাদেশ দারুণ একটি সুখবর পেতে যাচ্ছে। অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ। এমনই দাবি করেছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত দল এ মুহূর্তে অবস্থান করছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় দু দলের মধ্যে তিন ম্যাচের একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথাবার্তা চলছে। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজটা ত্রিদেশীয় সিরিজে পরিণত হওয়ারও জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃতীয় দল হিসেবে যুক্ত হবে বাংলাদেশের নাম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-এর নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই ফ্লোরিডায় একটি আলোচনায় বসবে। বলতে পারেন পুরো বিষয়টিই পরিষ্কার। আমরা এখন শুধু সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছি। ম্যাচগুলো আগস্টের শেষ সপ্তাহে হতে পারে। তৃতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশকেও যুক্ত করা হতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড মূলত ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে এ সিরিজ আয়োজন করার কথা ভাবছে। কেননা ২০১৪ সালে বোর্ডের সাথে খেলোয়াড়দের বিরোধের জের ধরে ভারতের সাথে চলমান সিরিজের মাঝ পথেই দেশে ফিরে গিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তখন বেশ বড় অংকের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বিসিসিআইকে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

অস্ত্রোপচার হতে পারে মুস্তাফিজের কাঁধে!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অস্ত্রোপাচার হতে পারে মুস্তাফিজুর রহমানের কাঁধে। চোটের ধরন সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হতে আরেকবার এমআরআই করানো হবে মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধে। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানায় বিসিবি। বিসিবির সূত্রটি জানায়, ফিজকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেয়া হবে না। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করা হবে বাঁহাতি এ পেসারের কাঁধে। গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাঁ কাঁধে চোট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। পুরোনো সেই চোটই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সাসেক্সে খেলতে গিয়ে। সাথে নতুন কিছু জটিলতাও ধরা পড়েছে ইংল্যান্ডে করা এমআরআইতে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ইংল্যান্ডে চিকিৎসকের সাথে দেখা করেছেন মুস্তাফিজ। গত বুধবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানালেন, মুস্তাফিজকে নিয়ে খুবই সতর্ক বিসিবি। ওর কাঁধে বাড়তি কিছু লিকুইড জমে আছে। আরেকটি এমআরআই করানো হবে ওখানে। এরপর বুঝতে পারবো আমাদের করণীয়। ইনজেকশন দেয়া হবে নাকি অপারেশন, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওখানকার চিকিৎসকদের মতামত শুনবো আমরা, আমাদের ফিজিও-ডাক্তাররা তো আছেনই। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ধরনের চোটের চূড়ান্ত সমাধান করতে হলে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। তবে অস্ত্রোপচার করলে মাস ছয়েকের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে পারেন মুস্তাফিজ। কিন্তু অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে আগামী জুলাই পর্যন্ত টানা খেলা মুস্তাফিজের। সেক্ষেত্রে এখনই অস্ত্রোপচার করানো হবে কিনা, সেই প্রশ্নও থাকছে।

জালাল ইউনুস জানালেন, পরিস্থিতি যেটা দাবি করবে, সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলে সেটাই করা হবে। পরিস্থিতি মতোই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুস্তাফিজ আমাদের বড় এক সম্পদ। ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকিই নেয়া হবে না। একই ধরনের কাঁধের চোট তামিম ইকবাল ও নাসির হোসেনেরও সঙ্গী। তবে তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলছে কাজ। সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, তামিম ও নাসির মূলত ব্যাটসম্যান। নাসির বোলিং করলেও মূল বোলার নয়। ওদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়াই ম্যানেজমেন্ট সম্ভব। কিন্তু মু্স্তাফিজ পেসার, কাঁধের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এ ইনজুরি যে কোনো সময়ই মাথাচাড়া দিতে পারে।

মিরপুর স্টেডিয়ামে অনার্স বোর্ড চান তামিম

স্টাফ রিপোর্টার: কিছুদিন আগেই লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখালেন মিসবাহ-উল-হক, ইয়াসির শাহ, ক্রিস ওকস। ইতিহাস, ঐতিহ্য, খ্যাতি, মিলিয়ে লর্ডসের অনার্স বোর্ডের ব্যাপারটিই আলাদা। লর্ডসের অনার্স বোর্ড নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আনন্দের বড় উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথম টেস্টে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওই বোর্ডে নাম তুলেছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। তবে ইংল্যান্ডের রান ছাড়িয়ে গিয়েছিলো পাঁচশ, শাহাদাত রান দিয়েছিলেন একশ ছুঁইছুঁই।

তামিমের ইনিংসটি ‘স্পেশাল’ ছিলো অনেক কারণেই। ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলেছিলেন। ৯৪ বলে করেছিলেন শতক, সেই সময়ে যা টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম। সেই শতক আবার করেছিলেন ম্যাচের আগেই অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর ঘোষণা দিয়ে! পরের টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও শতক করেছিলেন তামিম। লর্ডসের মতো বিখ্যাত না হলেও অনার্স বোর্ড আছে ম্যানচেস্টারের এ মাঠেও। সেবারের পর আর ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। অনার্স বোর্ডেও নাম ওঠেনি আর কারও। তামিম ইকবালের ভাবনা, যদি শের-ই-বাংলাতেও থাকতো এমন অনার্স বোর্ড! লর্ডস, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মতো অনার্স বোর্ড আছে অ্যাডিলেড ওভালে, আরও দু-একটি মাঠে। তামিম বলেন, লর্ডস যেমন ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের জন্য শের-ই-বাংলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাচ্চাদের স্বপ্ন থাকে ওরা একদিন শের-ই-বাংলায় খেলবে। আমার জন্য সব মাঠই গুরুত্বপূর্ণ তবে আমার দেশের নিজের মাটি একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, যদি একটা বোর্ড করা হয়, কেউ যদি বড় অর্জন কিছু করে, ওগুলো যদি লেখা হয়; সেটা যতদিন খেলবো ততদিন হয়ত মূল্য বুঝবো না, যখন ক্রিকেট ছেড়ে দিবো তখন বুঝবো। হয়তো তখন আমি আমার ছেলেকে দেখাতে পারবো আমি এখানে কিছু একটা করেছিলাম। আমি নিশ্চিত, অন্য সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখাতে পারবে। অনার্স বোর্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের টেস্ট সহ-অধিনায়ক দাবি তুললেন একটি ক্রিকেট জাদুঘর গড়ে তোলার।

মেন্ডিসের রেকর্ডে চাপা পড়লো অস্ট্রেলিয়া

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সকালে হয়তো অভ্যাসবশতই প্যাড পরেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তখনো নিশ্চয় আশা করেননি মাত্র ৩ বল পরেই নেমে যেতে হবে মাঠে। কিন্তু মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক বলে ফিরলেন দিমুথ করুনারত্নে। তড়িঘড়ি করেই নামতে হলো মেন্ডিসকে। নামলেন, ব্যাট করলেন আর রেকর্ড গড়লেন। নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এখন মেন্ডিসের। আর সেই রেকর্ডে চাপা পড়ল অস্ট্রেলিয়া। ৮৬ রানের ঘাটতি কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার লিড এখন ১৯৬ রান। পাল্লেকেলে টেস্টে চালকের আসনে এখন শ্রীলঙ্কাই।

৭ টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ার। এর আগে মেন্ডিসের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিলো ৫৩ রানের। মূলত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত। দলের প্রয়োজনে নিজের চেনা রূপটিকে বদলে ফেলে ব্যাটিং করেন কি-না, সেটিই ছিলো দেখার বিষয়। মাত্র ৬ রানেই ২ উইকেট নেই দলের, ৪৫ রানে ৩! কিন্তু মেন্ডিস সে পথে গেলেন না। এমনই এক আক্রমণাত্মক ইনিংস খেললেন, অস্ট্রেলিয়ান বোলিং আক্রমণই হয়ে পড়লো দিশেহারা। প্রায় একাই টেনে নিলেন দলকে। নাথান লায়নকে ছক্কা মেরে যখন সেঞ্চুরি পেলেন, স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কা ১৪০/৪!
সে সময় মনে হয়েছিল চার্লস ব্যানারম্যানের রেকর্ডটিকেই না ভেঙে দেন মেন্ডিস! তখন শ্রীলঙ্কার ৭১ ভাগ রানই ছিলো ​মেন্ডিসের। ইতিহাসের প্রথম টেস্টেই দলের ৬৭ ভাগেরও বেশি রান একাই করেছিলেন ​অস্ট্রে​লীয় ব্যানারম্যান, যে রেকর্ডটি আজও অম্লান। কিন্তু ব্যানারম্যানকে সম্ভবত ছাড়িয়ে যাওয়া আর হচ্ছে না​মেন্ডিসের। কারণ দীনেশ চান্ডিমাল (৪২) ও ধনঞ্জয় ডি সিলভাও (৩৬) রান পাওয়ায় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেটে ২৮২ রানের সংগ্রহে মেন্ডিসের অবদান দাঁড়িয়েছে ৫৯.৯২ শতাংশ।

শ্রীলঙ্কার ২০০ ছুঁই ছুঁই লিড নেয়াতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে পাল্লেকেলে টেস্ট জিততে চাইলে রেকর্ড গড়তে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। উপমহাদেশে ২০০ রানের বেশি তাড়া করে মাত্র একবারই টেস্ট জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সেটিও ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টে। অস্ট্রেলিয়াকে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার পথেই রেকর্ড গড়েছেন মেন্ডিস। দিন শেষে ১৬৯ রানে অপরাজিত তিনি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কলম্বোতে সর্বোচ্চ ১৩৭ রান করেছিলেন অশঙ্কা গুরুসিনহা। সে রেকর্ড ভেঙে এখন কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ডের পেছনে ছুটছেন মেন্ডিস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৯২ রানের ইনিংসটি সাবেক এ অধিনায়কের। আজ যেভাবে খেলেছেন মেন্ডিস, কাল এ রেকর্ডটি খুব সহজেই করে ফেলার কথা তার।

বার্সায় আমরা মেসির জন্যই খেলি: নেইমার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বার্সেলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসির জন্যই বার্সেলোনার হয়ে ভালো খেলেন বলে জানালেন তার সতীর্থ আরেক তারকা খেলোয়াড় ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার। শুধুমাত্র তিনি নন, ক্লাবের সকলেই মেসির জন্য বার্সাতে ভালো খেলে থাকেন বলে জানান নেইমার, মেসি বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। বার্সেলোনায় আমি এবং আমরা সবাই মেসির জন্যই খেলি।

গত বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার পর অলিম্পিকের মতো বড় আসরে খেলতে নামছে ব্রাজিল। এবারের অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনিরোতে। তাই স্বাগতিক হিসেবে ব্রাজিলের ওপর চাপটাই বেশি। কিন্তু দলের উপর কোন চাপ আছে বলে মানতে নারাজ ব্রাজিলের অধিনায়ক নেইমার। তিনি বলেন, ‘চাপ ফুটবলেরই অংশ। চাপ থাকবেই। চাপ নিয়েই খেলতে হয় সবসময়। তবে এ চাপ সামলানোর টোটকাটা মেসির কাছ থেকেই নিতে চান নেইমার। মেসি উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, বার্সাতে মেসির ওপর অনেক চাপ থাকে। তারপরও সকল চাপ সামলে ওঠেন মেসি। কেউ কি অস্বীকার করবে যে আমরা সেখানে মেসির জন্য খেলি না? অবশ্যই আমরা সবাই মেসির জন্য খেলি। আমরা বার্সেলোনাতে মেসির উপর নির্ভরশীল।

মেসির জন্য খেলা বা মেসির ওপর নির্ভরশীলতা নিয়ে তার নিজের কোন লজ্জা নেই বলে জানালেন নেইমার, আমি মেসির জন্য খেলি, এমন কথা বলতে আমার কোন লজ্জা নেই। কারণ বিশ্ব সেরা খেলোয়াড়ের জন্য খেলতে কারও কোনো লজ্জা থাকা উচিত নয়। এছাড়া আমরা সবাই মেসির পারফরমেন্সের দিকে চেয়ে থাকি। তার ওপর নির্ভরশীল আমরা। রিও অলিম্পিকে দলের পারফরমেন্স নিয়েও কথা বলেন নেইমার, ভালো খেলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবো আমরা। কোনো কিছুতেই আমি ভয় করি না। ভয় জয়ের আসল ইচ্ছাটাই নষ্ট করে দেয়। তাই ভয়হীনভাবেই আমরা মাঠে খেলবো।