হেলপার পদে যোগদিয়েই নিরুদ্দেশ চুয়াডাঙ্গার ড্রাইভার মিজানুর : ট্রাকের ড্রয়ারে থাকা ৮০ হাজার টাকা উদ্ধারের চেষ্টায় মালিক-চালক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চালক হয়েও ট্রাকের হেলপার পদে চাকরি নিয়েই চম্পট, তারপর ট্রাক মালিক দেখলেন ট্রাকের ড্রয়ারে রাখা ৮০ হাজার টাকাও নেই। তা হলে কি হেলপার পদে চাকরি নেয়া চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমানই ওই টাকা নিয়ে পালিয়েছে? স্পষ্ট জবাব মেলেনি। তবে তাকে খুঁজতে চুয়াডাঙ্গা থেকে দুজন গতরাতেই পাবনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মিজানুর রহমানের পৈত্রিক নিবাস আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ গড়চাপড়ায়।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন মিজানুর রহমান। চালকের সহকারী হিসেবে কাজও করতেন। কিছুদিন হলো তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্সও নিয়েছেন। অপরদিকে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার ফজলুর রহমানের ড্রাইভার নিজেই এখন ট্রাক মালিক। ফজলুর রহমান সম্প্রতি ট্রাক নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বাইরে যান। হেলপার হিসেবে মুন্সিগঞ্জের একজনকে নিয়ে যান। ভাড়া নিয়ে গতকাল তারা পৌঁছায় রাজশাহী। সেখানেই হেলপার হিসেবে যোগদেন মিজানুর রহমান। এসব তথ্য দিয়ে ট্রাক মালিক ফজলুর রহমানের লোকজন বলেছেন, উল্লাহপাড়ায় ট্রাক আনলোডের সময় কাঠি দেয়ার কাজটিও করতে শুরু করেন মিজানুর রহমান। এক পর্যায়ে খাওয়ার টাকা চান। চালক তাকে ১শ টাকা দিয়ে হোটেলে খাওয়ার জন্য পাঠান। সেই যে গেলো আর ফেরেননি মিজানুর রহমান। মাল আনলোডের পর লেবারদের বকশিসের টাকা বের করতে গিয়ে ট্রাকের মালিক তথা চালক ফজলুর রহমান দেখেন ড্রয়ারে রাখা ৮০ হাজার টাকার বান্ডিল নেই। নেই তো নেই-ই। মিজানুর রহমানের নিরুদ্দেশ হওয়ার কারণে তাকেই টাকা চোর হিসেবে সন্দেহ করা হয়।

মিজানুর রহমান মুন্সিগঞ্জের ছেলে। ট্রাকের ড্রয়ারে রাখা টাকা নিয়ে সে তার শ্বশুরবাড়ি পাবনার আটঘরিয়ায় ফিরতে পারে ভেবে গতরাতেই দুজন ট্রেনযোগে পাবনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। গতরাতে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েও তা সম্ভব হয়নি। ফলে তার মতামত নেয়া যায়নি।