স্টাফ রিপোর্টার: অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জেল-জরিমানার প্রতিবাদে আজ শনিবার ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মামলা দিয়ে তারেক রহমানের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের আইনজীবী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সময় এলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে মুদ্রা পাচার মামলায় আইনের বিধান অনুযায়ী আপিল করবেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে না এলে এ মামলায় তার পক্ষে আপিল করা সম্ভব নয়। তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে মামলাটি করা হয়েছে এবং তার অনুপস্থিতিতে সাজা দিয়েছেন। আইনের বিধানমতে যে পর্যন্ত না তারেক রহমান দেশে আসেন এবং এখানে হাজির না হবেন, সে পর্যন্ত তার পক্ষে আপিল করা সম্ভব নয়।
খন্দকার মাহবুব বলেন, তারেক রহমান মুদ্রা পাচারের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। এমনকি বিদেশের কোনো ব্যাংকে তার একটি পয়সাও নেই। কিন্তু তারপরও তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার অপরাধ, তিনি জিয়াউর রহমানের পুত্র। তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি, পর্যুদস্ত ও জনসম্মুখে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই সরকার ২০০৩-০৬ সালের ঘটনার ওপর ২০০৯ সালে মামলা করে এবং তার অনুপস্থিতিতে সাজা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এ সাজা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।
খন্দকার মাহবুব বলেন, তারেক রহমানকে ওয়ান/ইলেভেনের সময় গ্রেফতার করে নেয়া হয়েছিলো। অমানুষিক নির্যাতন করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছিলো। তারপর তাকে সরকারের অনুমতিতে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসারত ২০০৯ সালে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলাটি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে। এ মামলায় তারেক রহমানকেও আসামি করা হয়।