বদরগঞ্জ মর্তুজাপুর পূর্বপাড়ার ইটের হেরিং রাস্তার ওপর বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

 

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ মর্তুজাপুর পূর্বপাড়ার ইটের হেরিং রাস্তার ওপর বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে হাঁটু পযর্ন্ত কাদায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার জনসাধারাণ চলাচল করতে পারছে না।

এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন হাজির ছেলে হাজি মো. শাখাওয়াত হোসেন টাইগার তার সহযোগিতায় বদরগঞ্জ মর্তুজাপুর আ. সাত্তার আলীর বাড়ি থেকে মজিবুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত ইটের হেরিং করে দেন। পরে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়ে মজিবুর মৃধার বাড়ি হতে জাওবকশোর বাড়ি পর্যন্ত ইটের হেরিং করে দেয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের অর্থায়নে মর্তুজাপর পূর্বপাড়ার মৃর্ত রমজান মণ্ডলের বাড়ি পযর্ন্ত ইটের হেরিং করার প্রকল্প দেয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য কুতুবপুর গ্রামের মেম্বার মকলেসুর রহমানকে পিআইসি করে রাস্তার ওপর ইটের হেরিং করার কাজ শুরু করলে এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উৎকোচ দাবির মুখে রাস্তার ওপর ইটের হেরিং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মেম্বার মকলেসুর রহমান উৎকোচ দিয়ে যেনতেনভাবে ৩ নম্বর ইট দিয়ে মাত্র ২শ গজ রাস্তার ওপর ইটের হেরিং নির্মাণ করেন। কাচা রাস্তা হিসেবে পড়ে থাকে সাংবাদিক কবীর দুখু মিয়ার বাড়ি থেকে রমজান মণ্ডলের বাড়ি পযর্ন্ত। এ বিষয়ে রাস্তার কাজের পিআইসি মেম্বার মকলেসুর রহমানের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি রিসিভ হয়নি।

মর্তুজাপুর পূর্বপাড়ায় অবস্থিত বাসিন্দারা জানান, এখন বর্ষাকাল, রাস্তায় ইটের হেরিং করা হলেও রাস্তার ওপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমে রয়েছে। রাস্তার চারদিকে ঘরবাড়ির কাদা পানি বেরিয়ে এসে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তার দু পাশ মাটি দিয়ে বেঁধে রাখার ফলে রাস্তায় মারণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে এরাকাবাসী।