আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আদালতের আদেশ অমান্য করে দীর্ঘ ৫৪ বছর ২৩ শতক জমি জোর করে ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার বগাদী গ্রামের আব্দুল খালেক গং’র বিরুদ্ধে। ১৯৬২ সাল থেকে মামলা চালিয়ে যাওয়াসহ নানা সংগ্রাম চালিয়ে আসা নিজাম উদ্দীন এখন জীবনে শেষ প্রান্ত এসে ক্রয়কৃত জমির ভোগদখলের অধিকার পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামের মোজাহার মণ্ডল ১৯৪৬ সালে তার স্ত্রী ছবুরন নেছার নামে ২৩ শতক জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের মৃত তোরাব মণ্ডলের ছেলে পলান মণ্ডলের কাছ থেকে। কিন্ত ৬২ সালে ভুলক্রমে জমির অর্ধেক পূর্বের মালিক পলান মণ্ডলের নামেই রেকর্ড হয়ে যায়। মোজাহার আলী মারা গেলে তার ছেলে নিরীহ নিজাম উদ্দিনের ভোগদখলে থাকা জমির পুরোটাই নিজের দখলে নিয়ে নেয় পলান মণ্ডল। তবে আরএস রেকর্ডে ওই ২৩ শতক জমি পুনরায় মোজাহারের নামে রেকর্ড হলেও তা আর নিজের দখলে নিতে পারেননি নিজামউদ্দিন। পলান মণ্ডলের মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকারসূত্রে পুরো জমির ভোগদখলে আসে তার তিন মেয়ে ভোগাইল বগাদী গ্রামের মুনসুরের স্ত্রী ভাদি বেগম, লিয়াকতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও রবিউলের স্ত্রী ভেজালী খাতুনের। পলান মণ্ডলের এই তিন মেয়ে জমির দেখভালের দায়িত্ব দেয় তারই চাচাত ভাই আজিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেককে। এই আব্দুল খালেকের দাপটের কারণেই নিজাম উদ্দিন জমি ভোগদখল করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে রেকোর্ড সংশোধনীসহ জমি ভোগদখল অধিকার চেয়ে চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী আদালতে মামলা করেছিলেন নিজাম উদ্দিন। সেই মামলায় বিজ্ঞ আদালত মামলার রায়ও দেন নিজামউদ্দিনের পক্ষে। এই রায়ের কপি থানায় জমা দেয়া হয়। তারপরও অবৈধ দখলমুক্ত হয়নি নিজাম উদ্দিনের জমিটি। গায়ের জোরে নিজে দখলে রেখেছে আব্দুল খালেক। নিজাম উদ্দিনের বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। জীবনের এই শেষ বয়সে এসে জমির দখল পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।