ঐতিহ্যবাহি গড়াইটুপি মেলা পরিদর্শন করলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার

স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী গড়াইটুপি মেলার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। মেলা শুরুর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও জনমানবশূন্যে পরিণত হয়েছে। কোনো প্রকার অশ্লীলতা ও জুয়ার আসর না থাকলেও এক শ্রেণির মানুষের অপপ্রচারের কারণেই এ দশায় রূপ নিয়েছে। মেলা পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামানের কাছে দুর্দশার কথা বললেন দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় আসা দোকানিরা। বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে অবশেষে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় শতবর্ষের ঐহিত্যবাহী গড়াইটুপি মেলার। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবারের মেলায় সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হয় এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান করা হয়। এ নির্দেশ অনুসরণ করে মেলা কর্তৃপক্ষ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এদিকে কারো কারো অপপ্রচারের কারণে এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের সমাগম অনেকাংশ কম। যে কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দোকানি, সার্কাস, যাত্রাপার্টিসহ বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও কর্মচারীরা পড়েছে মহাবিপাকে। চরম হতাশায় ভুগছেন তারা। মেলা কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্য ধরে রাখতে অপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও ফলাফল আশানুরূপ নয়। ব্যবসায়ীদের দুর্দশা ও এলাকাবাসীর বিনোদনে ভাটা পড়েছে এবারের মেলায়। ফলে গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মেলা পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান। মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ভিড় জমান ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। গোটা মেলা চত্বর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, মেলায় কোনো প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ চোখে পড়েনি। এলাকার মানুষ শতবর্ষের এ বিনোদন থেকে যেন বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মারুফুল আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন, তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হানিফ মণ্ডল প্রমুখ।