দেশের টুকরো খবর

জনগণকে সাথে নিয়ে জঙ্গি প্রতিরোধ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে মেধাবী তরুণদের জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে মূলোৎপাটন করা হবে। তিনি বলেন, জনগণই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ছেলে মেয়েদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। আধুনিক লেখাপড়া শিখে ধর্মান্ধতায় কি করে ঝুঁকে যায় লোকজন! তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয় জঙ্গি চিন্তা, তার মূলটা বের করতে হবে। কারা এর পেছনে কাজ করছে সেটা বের করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জঙ্গিবাদে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদেরও তা প্রতিহত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিটি বাহিনীকে প্রযুক্তিতে উন্নত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি, এদেশের মানুষকে ভালোবাসি। এদেশের স্বাধীনতা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি পরিবার যেন ভালো থাকে। তিনি আরও বলেন, আমি গর্বিত যখন কোনো রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে। এসএসএফ’র সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই তাদের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার জন্য।

জঙ্গিদের জামিন রুখতে সেল চান অ্যাটর্নি জেনারেল

স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গিদের জামিন নিয়ে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার তথ্য প্রকাশের প্রেক্ষাপটে এসব মামলার আসামিদের জামিন আটকাতে একটি সেল গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মতামত জানান। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটা কো-অর্ডিনেশন সেল থাকা দরকার। শুধু তাদের (জঙ্গি) ব্যাপারে পর্যালোচনা করার জন্য। সেই সেলকে অফিসে বসে থাকলে হবে না, তাদের অনবরত যোগাযোগ করতে হবে পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের সাথে, আমাদের সাথে অর্থাত অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সাথে। জঙ্গি অভিযোগে গ্রেফতার সবার তথ্য ডেটা ব্যাংকের মতো কিছু করে সংরক্ষণের পরামর্শও দেন তিনি। তিনি বলেন, একেবারে কম্পিউটারে তাদের নাম থাকা উচিত। প্রত্যেকটি জেলায় যারা পিপি আছেন, তারা যাতে কম্পিউটারে বোতাম টিপলেই সেসব নাম পান। আমার অফিসেও এরকম থাকা উচিত, যাতে বোতাম টিপলেই কোন জেলায় সন্ত্রাসের মামলায় কে কে আছে এবং তাদের জামিন কখন হয়েছে বা তাদের জামিন আবেদন কখন করা হয়েছে।

গুলশান হামলা : ৪ সন্দেহভাজনের ভিডিও প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ৱ্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (ৱ্যাব)। একই সাথে তাদের পরিচয় জানতে চেয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ৱ্যাবের অনলাইন মিডিয়া সেলের ফেসবুক পৃষ্ঠায় ওই ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করা হয়। পোস্টে লেখা হয়, গুলশানের হামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন চারজনকে নির্ণয়। এদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত ৱ্যাবের যে কোনো নিকটস্থ ব্যাটালিয়ন অথবা ক্যাম্পে অবহিত করুন। মোবাইল: ০১৭৭৭৭২০০৫০। ৭৫ ও ৭৯ নম্বর সড়কে বসানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে ১ জুলাই রাত ৮টা ৪২ থেকে ৯টার মধ্যে। ওই সময়ে চলাচলরত এক নারী ও তিন পুরুষকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া একটি গাড়িও চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০জনকে হত্যা করা হয়। এছাড়া আরো ২ পুলিশ সদস্য নিহত হন।

পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকসহ ৮ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়ের করা ৭টি দুর্নীতির মামলায় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকসহ ৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরাম ও উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, সিলেটের গোপাল গঞ্জ থেকে আরিফুর রহমান ও বাহার উদ্দিন, যশোর থেকে মনিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী খা ও মিজানুর রহমান, ফরিদপুর থেকে আকরাম হোসেন ও লালমনির হাট থেকে হাসান আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদরে ব্যাপারে দুদক সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরাম ও উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার স্বাক্ষর জাল করে ১৮ জন ব্যক্তির এনওসি তৈরি করে সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাস পোর্ট এ রূপান্তর করেন।