অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চলতি বছরটি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের জন্য খুব একটা ভালো ছিলো না। টি-টোয়েন্টির ৱ্যাঙ্কিঙের শীর্ষস্থান থেকে নেমে গেছে সপ্তম স্থানে। এ পর্যন্ত ১৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলে লঙ্কানরা হেরেছে ১১টিতে। তিন ম্যাচে জয়ী হয়েছে আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেটে সাত আর ওয়ানডেতে ছয় নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিঙে সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশ নিঃশ্বাস নিচ্ছে লঙ্কানদের ঘাড়ে। অতএব এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলে মহা দুর্যোগ নেমে আসবে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলটির ওপর। এসব কিছুই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের জন্য বিপদ সংকেত। এমন অবস্থা চলতে থাকলে খুব শিগগিরই বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় বড় ইভেন্টে খেলতে হলে আইসিসি’র সহযোগী দেশগুলোর সাথে বাছাই-পর্ব খেলতে হবে।

এমন দুর্দশার জন্য হয়তোবা দলের পরিবর্তনকালীন সময়কে দায়ী করা যেতে পারে। দু তারকা খেলোয়াড় মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং কুমার সাঙ্গাকারা অবসর নেয়ার পর থেকেই যেন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে লঙ্কানরা। তবে এমন অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডও পড়েছে। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছাড়াও ম্যাচ জিতেছে। সুতরাং অন্য দলগুলো ভালোভাবে পরিবর্তনকালীন সময় পার করতে পারলে পারেনি শ্রীলঙ্কা। দলটি সেরাদের বিপক্ষে নয়, এমনকি নিচের সারির দলগুলোর বিপক্ষেও ধুঁকছে। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি কুমার সাঙ্গাকারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব থাকায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুবই সমস্যায় পড়ছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। কখনো কখনো ‘এ’ দলের পরিকল্পনাও কাজে লাগেনি। অবশ্য এ জন্য শ্রীলঙ্কান বোর্ডের মধ্যেও কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি কম হয়নি।

সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ড সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এ সফরে ওয়ানডে সিরিজে লঙ্কান দল কতোটা ক্যাচ মিস করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। এমন ক্যাচ মিস না হলে স্কোর লাইন অন্য কিছু হতে পারতো এবং অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ফিল্ডিঙে উন্নতির ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। কেবল ফিল্ডিং নয়, ফিটনেসের ওপরও জোর দিয়েছেন ম্যাথুজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে রার্নিং বিটুইন দ্য উইকেট নিয়েও কিছুটা চিন্তিত ম্যাথুজ। এ ক্ষেত্রে লঙ্কান দলে সমস্যা থাকলেও শক্তিশালী অসিদের সিঙ্গেল নেয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লঙ্কান অধিনায়ক।