স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার কিশোরী বধূ খুশিকে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলাটি দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারার পরিবর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অইনে গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। মানবতা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় মামলার বাদী তথা খুশির মা আকলিমা খাতুন গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ আবেদনপত্র পেশ করেছেন।
আকলিমা খাতুনের পেশকৃত আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, গত ২৩ জুন খুশিকে তার স্বামী রাকিবুলসহ রাকিবুলের বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে। তাদের প্ররোচনায় খুশি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। মানবতা ফাউন্ডেশনের সহযোযগিতায় গত ২৯ জুন সদর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করি। ও সময় মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক)/৩০ ধারায় গ্রহণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা না করে পরবর্তীতে দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্ছিত হচ্ছি।
মামলাটি দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারার পরিবর্ততে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন -২০০০ (সংশোধনী/০৩)’র ৯(ক)/০৩ ধারা সংযোজন করার লিখিত আবেদন গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পেশ করা হয়। এ সময় এজাহারকারীর সাথে উপস্থিত ছিলেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়র্দ্দার, অ্যাড. মমতাজ বেগম, অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, অ্যাড. নওশের আলী, অ্যাড, মসলেম উদ্দীন-২সহ অনেকে। রোববার দুপুর ১২টায় আবেদনটি গ্রহণের সময় সদর থানর অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, খুশির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে প্রথম থেকেই তার প্রতিবেশীরা হত্যা বলে দাবি তোলেন। এ দাবিতে মিছিল মিটিং মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। খুশির মা হাতিকাটার মোকামের স্ত্রী আকলিমা খাতুন তার মেয়ে খুশিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত খুশির স্বামী রাকিবুলকে তার দাদাবাড়ি দামুড়হুদার দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরনের আদেশ দেন।