মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার নুরপুর মোড় নামক স্থানে মোটরসাইকেলের সাথে দ্রুত গতির ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে মারাত্মক আহত জয়নাল হোসেন (২৫) অবশেষে মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ জনে। এ ঘটনায় পিরোজপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় চলছে শোকের মাতম।
স্থানীয়রা জানান, গত পরশু শুক্রবার বেলা ৫টার দিকে পিরোজপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার এলেক উদ্দীনের ছেলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র শাহীনুজ্জামান একই গ্রামের হকাজ্জেল হোসেনের ছেলে কাঠমিস্ত্রি জয়নাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলো। পথে নুরপুর গ্রামের মোড়ে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুত গতির ট্রাকের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। দু জনই মোটরসাইকেল থেকে সড়কের ওপরে ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক স্কুলছাত্র শাহীনুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। মারাত্মক আহত জয়নালের অবস্থার অবনতি হতে থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে স্কুল ছাত্র শাহীনুজ্জামানের লাশ দাফন করা হয়। এদিকে রাত ৩টার দিকে জয়নাল হোসেনের লাশ গ্রামে এসে পৌঁছুলে শোকের মাত্রা বেড়ে যায়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়নাল হোসেনের লাশ দাফন করা হয়।
এলেক উদ্দীনের ২ ছেলের মধ্যে শাহীনুজ্জামান ছিলো বড়। ছোট ছেলে সাইফুল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। নিহত জয়নাল হোসেন নিহত শাহীনুজ্জামানের মামাত ভাই ছিলো। জয়নাল ৩ বছর আগে বিয়ে করেন।
ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ঘাতক ট্রাক ও তার চালক সুমনকে পুলিশ সদর থানায় নিয়েছে। তবে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।