দেশের টুকিপাকি : জঙ্গি হামলায় জড়িতরা চিহ্নিত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গি হামলায় জড়িতরা চিহ্নিত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গি হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। গতকাল শনিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুলশানে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ছয় জঙ্গিসহ ২৮ জন নিহত হন। শোলাকিয়ায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, আগুন-সন্ত্রাস করে যারা সরকারকে পর্যুদস্ত করতে চেয়েছিলো, তারা ব্যর্থ হয়ে গুপ্তহত্যায় লিপ্ত হয়েছিলো। তারাই টার্গেট কিলিং করছে। তবে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এগুলো মোকাবেলা করে করে চলছে। গুলশানে হত্যাকাণ্ডের পর একটি বৃহৎ রাষ্ট্র সৈন্য পাঠাতে চেয়েছিলো আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন দাবির কথা তুলে ধরে সেটা যুক্তরাষ্ট্র কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমেরিকা সৈন্য পাঠাতে চায়নি। তবে নিশা দেশাই বিসওয়াল কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।

সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান এরশাদের

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা বন্ধে সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। তিনি বলেন, আসুন সবাই একসাথে বসি।  আলোচনা করি। আলোচনার মাধ্যমে একটা সুরাহা করি। পৃথিবীর মানুষ দেখুক আমরা একসাথে বসতে পারি। গতকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এইচএম এরশাদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সারা দেশ রক্তে ভাসছে। সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড একটি দলের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে এর পরিধি বিস্তৃতি লাভ করেছে। আমরা রক্তে ভেজা নয়, বৃষ্টি ভেজা দেশ চাই। সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বলবো- সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। মানুষ আতঙ্কিত। এমন বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি।

পোশাক খাতে ২৫০ কোটি ডলারের অর্ডার হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার: সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার কারণে আগামী মরসুমে দুই থেকে আড়াইশত কোটি ডলার মূল্যের পোশাক তৈরির কাজ হারাতে পারে বাংলাদেশ। জঙ্গি হামলার কারণে নিরাপত্তা শঙ্কায় বিদেশি ক্রেতারা দেশে আসতে ভয় পাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ে পোশাক নিতে তারা অন্য কোন দেশে চলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন পোশাক ক্রেতাদের সাথে সরাসরি কাজ করে বাংলাদেশের বায়িং হাউজ পরিচালনাকারীদের সংগঠনের নেতারা। ফলে এবার দুই থেকে আড়াইশত কোটি ডলার মূল্যর পোশাকের অর্ডার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে। এ সময় তারা বলেন, পশ্চিমা দেশের ক্রেতারা জুলাই-আগস্টের গ্রীষ্মকালীন মরসুমে মোট পোশাক অর্ডারের ৬০ শতাংশের অর্ডার দিয়ে থাকে এ সময়ে। এখন ক্রেতারা অর্ডার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চলে যাবেন। অর্ডার নেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেলে এ খাতে দুই থেকে আড়াইশত কোটি ডলারের কাজ পাবে না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। বক্তারা দাবি করছেন, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে আছেন বিদেশি ক্রেতারা। গুলশানের জঙ্গি হামলায় নিহত নয়জন ইতালীয় নাগরিকই ছিলেন পোশাক ক্রেতা। ইউরোপের দেশগুলোতে এ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এরপরেই বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ায় বিদেশিদের শঙ্কা আরো বেড়ে গিয়েছে।