টেস্টে উন্নতির লক্ষ্যে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইসিসি টেস্ট ৱ্যাংকিঙে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে চার ম্যাচের সিরিজে মাঠে নামছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার লর্ডসে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। সম্প্রতি নিজ মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয়ায় তিন নম্বরে থাকা পাকিস্তানের ১১১ পয়েয়েন্টের চেয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট পিছিয়ে আছে আছে ইংলিশরা। অর্থাৎ শুরু হওয়া সিরিজটি ২-১ অথবা ১-০ ব্যবধানে জিততে পারলে পয়েন্ট টেবিলে পাকিস্তানকে অনায়াসেই পেছনে ফেলবে ইংল্যান্ড। তবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে ঠিকই থাকবে অস্ট্রেলিয়া। আর সিরিজটি ড্র হলে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট হবে ১১০। আর পাকিস্তানের পয়েন্ট নেমে যাবে ১০৭-এ।

ইংল্যান্ড ২-০ অথবা ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১১২। সেক্ষেত্রে যৌথভাবে ভারতের সাথে দ্বিতীয় স্থানে উঠে যাবে দলটি। অবশ্য এ মাসের শেষ সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চার টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারতীয়রা। আবার নিজ মাঠের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারলে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট হবে ১১৩। আর ৪-০ ব্যবধানে পয়েন্ট হবে ১১৪। যার ফলে ৱ্যাংকিঙের দ্বিতীয় স্থান দখল করবে ইংলিশরা। বর্তমানে ১১২ পয়েন্ট নিয়ে ৱ্যাংকিঙের দ্বিতীয় স্থানের রয়েছে ভারত। ১১১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান তৃতীয় এবং ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইংল্যান্ড। সুতরাং ভারত, পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান খুব বেশি না হওয়ায় ৱ্যাংকিঙে পরিবর্তন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ অথবা ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে ভারতকে হটিয়ে ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ৱ্যাংকিঙের দ্বিতীয় স্থান দখল করবে পাকিস্তান। গত বছর নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলো পাকিস্তান। ৱ্যাংকিঙের শীর্ষস্থান দখলের সুযোগও রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। তবে সেজন্য উপমহাদেশের দলটিকে ৩-০ অথবা তার চেয়েও বড় ব্যবধানে সিরিজ জিততে হবে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানের সেরা পারফরমেন্স ছিলো ১৯৯৬ সালে তিন টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়।

Leave a comment