মহেশপুরে আবারও প্রসূতির মৃত্যু

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে শুভ ক্লিনিকে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। প্রসূতির মৃত্যুর জন্য তার নিকজনেরা চিকিৎসকের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন।

জানা গেছে, মহেশপুর পৌর এলাকার কৈলাশপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খাতুনের (২২) প্রসব বেদনা শুরু হয় গত ৩০ জুন। মহেশপুর চড়কতলা মোড়ে অবস্থিত শুভ ক্লিনিকে নেয়া হয়। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে শীরর দুর্বল থাকায় রক্ত দিয়ে সিজার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। অভিযোগকারীরা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, ক্লিনিক মালিক সুবাশ কোনো এক ডাক্তার দিয়ে শরীরে রক্তা দেয়া  ছাড়াই ওই দিনই তাকে সিজার করায়। সিজারের পর থেকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। ওই ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক কোনো ডাক্তার না থাকায় শুভ নিজেই রোগীর পরিচর্যা করতে থাকে। গত ৪ জুলাই রোগীকে বাড়িতে রিলিজ করে দেয়া হয়। সুবাশ রোগীর বাড়িতে গিয়েও পরিচর্যা করতে থাকে। সিজার পরবর্তীকালীন অভিজ্ঞ কোনো ডাক্তারের পরমর্শ না নেয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। আকলিমার স্বামী তরিকুল ইসলাম জানান, সে সুবাশের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি চিকিৎসার কোনো ত্রুটি রাখেননি। সমস্ত চিকিৎসায় সুবাশ নিজে হাতে করেছে। তরিকুল আরো জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে ডাক্তার বললেন রোগী রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন। সিজারের পূর্বে রোগীকে রক্ত প্রদান করতে হবে। কিন্তু সুবাশ রোগীকে রক্ত না দিয়েই রোগীকে সিজার করায়। এদিকে রোগীর মৃত্যু পর থেকে সুবাশ রোগীর বাড়িতে সার্বক্ষণিক বসে ছিলো এবং সংবাদকর্মীরা গেলে তাদেরকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। সুবাশ জানায়, সিজার পরবর্তীতে ডায়রিয়া হওয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান জানান, ইতঃপূর্বে শুভ ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে তাকে জেল ও জরিমান করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষ তাকে কিভাবে ওই ক্লিনিক চালানোর অনুমতি দিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে আইন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাহাজ্জেল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে দেখবার দায়িত্ব হচ্ছে সিভিল সার্জনের তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

উল্লেখ্য, মহেশপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো এখানে সেখানে গজিয়ে উঠেছে ক্লিনিক নামক কসাইখানা। ইতঃপূর্বে ভৈরবা ক্লিনিকে ১ মাসে ১২ জন রোগী মৃত্যু হয়।