বেগমপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বড়দুধপাতিলা দোয়েল ইটভাটার পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশ উদ্ধারের ১৫ দিনের মাথায় পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত যুবক উজলপুরের মোজাম বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করলে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে। মোজামকে ট্রাকচালক রাজাপুরের আজিম হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে মাঠে কর্মরত কৃষকরা পুলিশে খবর দেয়। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়। লাশের শরীরে ধারালো বেশ কয়েকটি কোপানোর দাগ ছিলো। নিহত যুবকের পরনে ছিলো জিন্সের প্যান্ট ও গায়ে আকাশি রঙের গেঞ্জি। লাশ উদ্ধারের ১৫ দিনের মাথায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর বিলপাড়ার উসমান মন্ডল দাবি করে বলেছেন, নিহত যুবক তার ছেলে মোজাম্মেল হক ওরফে মোজাম। উসমান মণ্ডলের অভিযোগে আরো জানা গেছে, মোজাম চুয়াডাঙ্গার আলোকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আবুল হোসেন মণ্ডলের ছেলে ট্রাকচালক আজিজ ওরফে আজিমের অধীনে ট্রাক হেলপারের কাজ করতেন। আজিমের সাথে মোজামের পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত আজিম ড্রাইভার তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বুড়িমারী থেকে পাথর ভর্তি ট্রাক থেকে চুয়াডাঙ্গা তিনি নেমে যান। হেলপার মোজামকে পাথর নামাতে জীবননগরের পেয়ারাতলার উদ্দেশে পাঠানো হলেও তার কোনো হদিস মেলেনি। পরে জানা যায়, ট্রাকটি দর্শনা ফিলিং স্টেশন এলাকায় ফেলে পালিয়েছে মোজাম। এদিকে দামুড়হুদা থানা ওসি তদন্ত আব্দুল খালেক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুব্রত বিশ্বাস বলেছেন, লাশ শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই পরিষ্কার হবে উদ্ধারকৃত লাশ মোজামের কি-না। তবে চালক আজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মোজামের পিতা মনে করেন।