আলমডাঙ্গা মাদারহুদায় যুবতীর হাত-মুখ বেধে ধর্ষণ : অন্তঃসত্ত্বা কলেজছাত্র হাফিজুলের বিরুদ্ধে মামলা

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের যুবতিকে হাত-মুখ বেধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কলেজছাত্র হাফিজুলের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীর বাড়িতে যুবতীকে আটকে হাত ও মুখ বেধে ধর্ষণ করে কলেজছাত্র হাফিজুল। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে অ্যসিড মেরে ঝলসে দেয়ার হুমকিও দেয় সে। ঘটনার ৬ মাস পর অন্যত্র বিয়ে হয় ওই যুবতির। বিয়ের মাস না ঘুরতেই নববধূ অন্তঃসত্ত্বার হয়ে পড়ে। স্বামী-শাশুড়ি বিষয়টি টের পেয়ে যুবতীকে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তারা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে সালিশের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিচার না মেনে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা যুবতি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাস আগে আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী (১৮) লবন কেনার জন্য বাড়ির পাশে বেলাল হোসেনের ছেলে সোনামিয়ার দোকানে যায়। দোকান বন্ধ পেয়ে বাড়ি মধ্যে গেলে যুবতীকে দোকনের ভেতরে যেতে বলে বেলালের ছোটভাই সাফায়েতের স্ত্রী নাসিমা। এ সময় দোকানের মধ্যে একই গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে হাফিজুলকে দেখতে পায়। এ সময় হাফিজুল ওই যুবতীকে জাপটে ধরে। যুবতী চিৎকার দিলে নাসিমা খাতুন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় লম্পট হাফিজুল যুবতির গায়ের ওড়না দিয়ে হাত ও মুখ বেধেঁ ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে মুখে এসিড মেরে ঝলসে দেবে বলে হুমকি দেয় হাফিজুল। যুবতি ভয়ে কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ বাড়ি ফিরে যায়। ধর্ষণের ফলে যুবতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এমনি অভিযোগ করে যুবতি আরো জানায়, ২৫ দিন আগে বাড়ির লোকজন শারীরিক পরিবর্তনের ফলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে যায়। গর্ভের ৬ মাসের বাচ্চা নষ্ট করে। এদিকে ২০ দিন আগে আলমডাঙ্গার হাউসপুর গ্রামে বিয়ে হয় ওই যুবতীর। সন্তান নষ্ট করার ফলে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যুবতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের কাছে নিলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে পারে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যুবতীকে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে তারা। পরে বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে গতপরশু গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে গ্রামবাসী। সালিশে ধর্ষক হাফিজুলকে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সালিশের বিচার না মেনে গতকাল যুবতী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

গ্রামবাসী জানায়, যুবতীর পিতা দরিদ্র লোক। হাড়ি-গামলা, থালা-বাসন ফেরি করে বিক্রি করে তার সংসার চালায়। যুবতিকে ভালো মেয়ে বলে গ্রামের সবাই জানে। লম্পট হাফিজুল ওই যুবতীর সম্পর্কে চাচা হয়। অন্য দিকে হাফিজুল ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করলেও গ্রামের অনেকেই বলেছেন সে আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

Leave a comment