স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘুর্ণিঝড় খরা কালবোশেখি টর্নেডো বজ্রপাত ও লবণাক্ত প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস প্রধান অতিথি ছিলেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরও) গোলাম সারওয়ার। পাউয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশরুর। বক্তব্য রাখেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) কুব্বাত আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতা ও সাংবাদিক শাহ আলম সনি।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়ার রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাশ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম হায়দারসহ সরকারি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আব্দুল হান্নান।
কর্মশালায প্রধান অতিথি বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, চুয়াডাঙ্গা কৃষি নির্ভর জেলা। এ জেলায় প্রচণ্ড গরম। বজ্রপাতে মানুষ মরা যাচ্ছে। বিল্ডিং বানানোর সময় বজ্রপাত নিরোধ দণ্ডটি না থাকায় মানুষের কাছে বজ্রপাত চলে আসছে। এজন্য সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করেছে। ঘূর্ণিঝড় হলে প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সমুদ্র উপকুলীয় এলাকাগুলোতে দুর্যোগ প্রবণতা বেশি। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই কর্মশালা। কর্মশালায় যারা জানলেন তারা পার্শ্ববর্তী মানুষকে জানাবেন, তারা উপকৃত হবেন। গাছ লাগানো বৃদ্ধি করতে হবে এবং পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।