দামুড়হুদায় বিতর্কিত দলিল লেখক লিটনের লাইসেন্স বাতিল চূড়ান্ত পর্যায়ে : আদেশ যেকোনো দিন

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত দলিল লেখক লিটনের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে আনিত অভিযোগের সরেজমিন সত্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার মো. আবুল কালাম আজাদ সশরীরে দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যান এবং উপস্থিত দলিল লেখকদের নিকট থেকে দলিল লেখক লিটনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেন। তিনি উপস্থিত ৬৯ জন দলিল লেখকের লিখিত নেন এবং ৬৯ জনই বিতর্কিত দলিল লেখক লিটনের লাইসেন্স বাতিলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য, দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আসাদুজ্জামান লিটন নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের টাকা আত্মসাত, সাধারণ দলিল লেখকদের সাথে খারাপ আচরণসহ অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। তার অত্যাচারে সাধারণ দলিল লেখকগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লে উপজেলায় কর্মরত সমস্ত দলিল লেখকদের স্বাক্ষরসহ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আইনমন্ত্রী বরাবর দলিল লেখকদের পক্ষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম অভিযুক্ত দলিল লেখক লিটনের লাইসেন্স বাতিলের দিবী জানিয়ে আবেদন করেন। আইনমন্ত্রী বিষয়টি অবগত হন এবং বিধি মোতাবেক লিটনের লাইসেন্স বাতিলের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্টার বরাবর পত্র প্রেরণ করেন। জেলা রেজিস্টার তার লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না মর্মে  অভিযুক্ত দলিল লেখক লিটনের কাছে সন্তোষজনক জবাব চেয়ে গত ২৯ মে নোটিশ প্রদান করেন। লিটন লিখিত জবাবে জানান তার লাইসেন্স বাতিলের পক্ষে যে সমস্ত দলিল লেখকদের স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে তা ভুয়া বলে উল্লেখপূর্বক প্রায় ৫০ জন দলিল লেখকের স্বাক্ষর সংবলিত জবাব দেন। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্টার গতকাল সশরীরে দামুড়হুদায় যান।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, লিটনের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আদেশ যেকোনো দিন। সরেজমিন শুনানি কাজে সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার শ্রী মানিক চন্দ্র মুখার্জী এবং জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান সহকারী মরিদুল ইসলাম।