জীবননগরে টানা লোডশেডিং দেয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া এলাকায় বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রত্যেহ মাগরিব, এশা ও ফজরের আজনের ধ্বনি দেয়ার সাথে সাথে টানা লোডশেডিং দেয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজান মাসে প্রচাণ্ড ভেপসা গরমে রোজাদারসহ মুসল্লিগণের সেহরিসহ নামাজ আদায়ে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়ায় মুসল্লিদের তারাবি নামাজ সহ অন্যান নামাজ আদায় ব্যহত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সকল কল-কারখানার উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আযান, নামাজ ও সেহরির সময় টানা লোডশেডিং দেয়ায় মুসল্লিরা প্রশ্ন তুলে বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হিন্দু-মুসলিম না খ্রিস্টান? কারণ কোনো ধর্মেই ধর্মীয় প্রার্থনায় ব্যঘাত সৃষ্টি অনুমোদন করে না। তা হলে কি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা? ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীসহ অতিষ্ঠ বিদ্যুত গ্রাহকগণ বলছেন, জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র। বিষয়টি খাতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। প্রধান মন্ত্রী, বিদ্যুত মন্ত্রী ও এমপি মহোদয় বিভিন্ন সভা সেমিনারে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেয় বলে দাবি করছেন। অন্যান সরকারের তুলনায় বিদ্যুত উতপাদন দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ ঘন ঘন  টানা লোডশেডিং দেয়ায় মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির সংশ্লিষ্ট মতলব বাজ কর্মকর্তার কোনো কুমতলব আছে কি-না তা খাতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল। এ ব্যাপারে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির উথলী জোনের প্রকৌশলী আলতাব হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ  করেনি।