বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ওয়ানডে

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আশা ছিলো জমজমাট লড়াইয়ের।  আগের ম্যাচে ১০ উইকেটে জেতা ইংল্যান্ডেরও সামর্থ্য ছিল আড়াইশ রানের সেই লক্ষ্য তাড়া করার। এদিকে তিন অর্ধশতকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়েছিলো শ্রীলঙ্কা। কিন্তু রোমাঞ্চের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি, পরিত্যক্ত হয়েছে তৃতীয় ওয়ানডে। গত রোববার ব্রিস্টলে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি। ব্রিস্টলে এর আগের ওয়ানডেতেও ফল হয়নি। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সেই ম্যাচে কোনো বলই হতে পারেনি। দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো ১০ উইকেটে ব্রিবতকর হারের পুনরাবৃত্তি যে হচ্ছে না তৃতীয় বলেই নিশ্চিত করে ফেলেন সুরঙ্গা লাকমল। দিনেশ চান্দিমালকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শতক করা অ্যালেক্স হেলস। কুশল মেন্ডিসের অর্ধশতকের পরও ৮৮ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৬৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন প্রথম ওভারেই ক্রিজে আসা এই ব্যাটসম্যান। চান্দিমালের সাথে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ৮০ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে শ্রীলঙ্কা। এটি তাদের টানা পঞ্চম এবং সব মিলিয়ে নবম অর্ধশত রানের জুটি। জুটি বেধে তাদের করা ১ হাজার ২৭২ রানে কোনো শতরানের জুটি নেই, সর্বোচ্চ ৯৩।

ওয়ানডে ক্রিকেটে এক  ইনিংসে কোনো শতরানের জুটি ছাড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন এই দুজনে। এরকম আগের রেকর্ডটি ছিল জিম্বাবুয়ের অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল ও গাই হুইটালের অধিকারে; ১ হাজার ২৪৯ রান করেছিলেন তারা। ৭৭ বলে ৬২ রান করে চান্দিমালের বিদায়ে ভাঙে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ। অর্ধশতকে পৌঁছে ফিরে যান ম্যাথিউসও (৫৬)। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শেষ ১০ ওভারে প্রথম ওয়ানডেতে ৬১, পরেরটিতে ৬৬ রান যোগ করা অতিথিরা এবার সংগ্রহ করে ৬২ রান। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লানকেট তিনটি করে উইকেট নেন। অভিষেকের ১০ বছর পর ৩৭তম ওয়ানডেতে এসে পঞ্চাশতম উইকেটের দেখা পান প্লানকেট। অ্যালেক স্টুয়ার্টের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে একশ ডিসমিসাল করেন জস বাটলার। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। দু দলের প্রথম ওয়ানডে হয়েছিলো টাই। আগামী বুধবার দ্য ওভালে হবে চতুর্থ ম্যাচ।