স্পর্শকাতর মামলার চূড়ান্ত রায় দিতে পেরেছি : প্রধান বিচারপতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, জেল হত্যা মামলায় আমি একাই ডিসেনটিং রায় দিয়েছিলাম। সেখানে ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হলো কিন্তু ষড়যন্ত্রের জন্য তাদের শাস্তি হলো না, আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তারা পরিকল্পিতভাবে খুন করবে। যারা পরিকল্পনার সাথে যুক্ত প্রত্যেকের শাস্তি পাওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইনে যেগুলো ক্রটি ছিলো সেগুলো আমি সংশোধন করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের হত্যা, জেল হত্যা, যুদ্ধাপরাধীসহ অনেক স্পর্শকাতর মামলার চূড়ান্ত রায় আমি দিতে পেরেছি।

গতকাল রোববার দুপুরে গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের প্যানেল কোডের বিধান অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আপনাদের মধ্যে এটা ভুল ধারনা। যেমন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি বলতে আপনারা মনে করেন ৩০ বছর। প্রকৃত পক্ষে এটা অপব্যাখ্যা হচ্ছে। যাবজ্জীবন অর্থই হল একে বারেই যাবজ্জীবন। পরিদর্শনকালে প্রধানবিচারপতির সাথে কারামহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখারুজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেলসুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বনিকসহ কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধান বিচারপতি কারাগারে এসে পৌঁছুলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে কারা অফিস কক্ষে কারাগারের ওপর নির্মিত দুটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধান বিচারপতি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর অভ্যন্তরে কারাবন্দি পুনর্বাসন স্কুল, ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস, গার্মেন্টস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এবং ২০০ শয্যা বিশিষ্ট্য কারা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।