খুশি হত্যা মামলা নিতে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন ওসি
শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের খুশি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে তার শ্বশুরবাড়িতে আবারও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিকে থানায় খুশি হত্যামামলা দায়ের করতে গিয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার মামলা করার জন্য সদর থানায় যায় খুশির পরিবারের লোকজন। এ সময় ওসি তোজাম্মেল হক মামলা না নিয়ে তাদেরকে থানা থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন নিহত খুশির ভাই মোহাম্মদ ইবু। গতকাল রোববার রাতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। মোহাম্মদ ইবু জানিয়েছেন, খুশিকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়েও চলছে বিভ্রান্ত। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। এছাড়া সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোজাম্মেল হকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তার অগ্রগতি নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন। গত শনিবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করতে সদর থানায় যান খুশির পরিবারের লোকজন। এ সময় মামলা গ্রহণ না করে নানা অজুহাত দেখান ওসি। বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে মামলা বা অভিযোগ না করার জন্য তাদেরকে বোঝানো হয়। পরে সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক তাদেরকে থানা থেকে বের করে দেন।
এ সময় ওসি তোজাম্মেল হক আরও বলেন, পরবর্তীতে কোনো মামলা হবে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আটক করতেও পারবো না। এদিকে খুশির লাশ গোসল করনোর সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ানোর চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। লাশ ধোয়ানোর কাজে থাকা মহিলারাও কামড়ানোর চিহ্ন দেখে নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এদিকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আবারও সোচ্চার হয়ে ওঠে প্রতিবাদীরা। হত্যার বিচার দাবি ও থানা পুলিশ হত্যামামলা না নেয়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা খুশির শ্বশুরবাড়ি ও ফুফুশাশুড়ির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।