ত্তরায় লিফট ছিঁড়ে আগুনের ঘটনায় মৃত্যুের সংখ্যা বেড়ে ৫

রাজধানীর উত্তরা বহুতল বিপণিবিতানের লিফট ছিঁড়ে আগুন লাগার ঘটনায় আরেকজন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোররাতে ওই ব্যক্তি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মাহমুদুল হাসান। তিনি আবাসন প্রতিষ্ঠান ট্রপিক্যাল হোমসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাহমুদুলের মেয়ে মায়েশা (১০) ও ছেলে মুনতাকিনও (৮ মাস) দগ্ধ হয়েছে। তারা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থশঙ্কর পাল বলেন, মাহমুদুলের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মো. নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, মায়েশার ৫৫ শতাংশ ও মুনতাকিনের শরীরের ২৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুজনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরার আলাউদ্দীন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে লিফট ছিঁড়ে আগুন লাগলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রাতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, লিফট ছিঁড়ে ও আগুনে ছয়জনের মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। আগুনে দগ্ধ হওয়া চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন চারজনের মধ্যে মাহমুদুল আজ ভোরে মারা গেলেন। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন মাহমুদুলের দুই সন্তান এবং মামুন নামের একজন।

মাহমুদুলের সহকর্মী কামাল উদ্দিন বলেন, আলাউদ্দীন টাওয়ারের বেসমেন্ট ট্রপিক্যাল হোমসের একটি শাখা কার্যালয় রয়েছে। সেখানে আয়োজিত ইফতারে অংশ নিতে দুই সন্তানসহ এসেছিলেন মাহমুদুল। তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন। ইফতারের আগে ওই ভবনে বিদ্যুৎ ছিল না। জেনারেটরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায় ও বিকট শব্দ হয়। বেসমেন্ট এলাকায় আগুন ধরে গেলে দুই সন্তানসহ মাহমুদুল দগ্ধ হন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের পেছনেই আলাউদ্দীন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের অবস্থান। ১৪ তলা ভবনটির ছয়তলা পর্যন্ত পোশাক, অলংকার, ইলেকট্রনিকস, প্রসাধনীর দোকানপাট। ওপরের তলাগুলোতে বিভিন্ন অফিস। শপিং কমপ্লেক্সে প্রবেশমুখের দুই পাশে দুটো লিফট। এর মধ্যে বাঁ পাশের লিফটটি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়।