২০১৪-১৫ আখ রোপণ মরসুমে সেরাচাষি ছিলেন কে?কারসাজি করে সেরাচাষি মনোনীত করার অভিযোগ সিডিএ শহিদুলের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোটার: কেরুজ চিনিকলের প্রতি আখ মাড়াই মরসুমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সেরা আখচাষিকে অর্থ ও ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। আখচাষের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে কৃষকদের সুবিধার্থে সরকার ভর্তূকিসহ সার ও কীট নাশক ঋণসহ নানা সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। সে মোতাবেক গত ২০১৫-১৬ আখ মাড়াই মরসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে। উদ্বোধনুষ্ঠানে ২০১৪-১৫ আখ রোপণে সেরা কৃষক হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছিলো দামুড়হুদার জয়রামপুর শেখপাড়ার মজিবর রহমানকে। দামুড়হুদা সাবজোনের সিডিএ শহিদুল আলমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মজিবর রহমানকে সেরা আখচাষি হিসেবে মনোনীত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। ৩২ একর জমিতে আখচাষ করে সেরা চাষির পুরস্কার জিতে নিলেও সিডিএস শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।

আখচাষিদের অভিযোগে জানা গেছে, ওই রোপণ মরসুমে মজিবর রহমানের ৭৫ নং ইউনিটের মাঠে আখ ছিলো ৫/৬ থেকে একর। মজিবর রহমানকে সার, কীট নাশক ঋণ, ভর্তূকির টাকাসহ যাবতীয় সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শহিদুল আলম। ওই রোপণ মরসুমের জরিপের ক্ষেত্রেও রয়েছে ঘাপলা। জরিপে ২৪ দশমিক ৫৭ একর জমির আখ দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে। ২০১৫-১৬ আখ রোপণ মরসুমের ক্ষেত্রেও মজিবর রহমানের ৮/৯ একর জমিতে আখ থাকলেও কাগজে কলমে ৩২ একর জমিতে আখ রোপণ দেখানো হয়েছে। কেন কী কারণে বড় আখচাষি হিসেবে মজিবর রহমানকে দেখাচ্ছেন সিডিএ শহিদুল আলম তা আখচাষিদের কাছে পরিষ্কার। এ ব্যাপারে মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) এসএম আলাউদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন, সাবজোন প্রধান মৃনাল কান্তি বিশ্বাসকে। ঘরে বসে নাকি মাঠ ঘুরে মৃনাল তদন্ত করেছেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মৃনাল কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, সিডিএ শহিদুল  আলম অসুস্থ। যে কারণে সব খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে যতটুকু খতিয়ে দেখা হয়েছে, তাতে মজিবর রহমানের প্রচুর পরিমাণ আখ মাঠে রয়েছে। এছাড়া শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আখচাষিদের রয়েছে নানা অভিযোগ। এ ব্যাপারে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন ও মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) এসএম আলাউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের কাছে দাবি তুলেছে।