চুয়াডাঙ্গা আদালত চত্বরে বাদী ও বিবাদীর নিরাপত্তা বিষয়ে জরুরি সভা

অপহরণের পর বাদীকে ১ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে এক বাদীকে অপহরণের ১ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির এক জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আদালত চত্বরে বাদী ও বিবাদীর নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশাসনের কাছে জোরদার করার দাবি করা হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন- সহসভাপতি মো. শাহ আলম ও সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার অহিদুল আলম মানি, নির্বাহী সদস্য জামাল উদ্দীন, আনারুল হক, এসএম হুমায়ুন কবীর, মুনিবুল হাসান পলাশ, সুজা উদ্দিন, মাসুদুর রহমান রান, রুবিনা পারভীন ও মাসুদ পারভেজ রাসেলসহ কার্যকরী কমিটির সদস্যরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতের সেশন ১৮০/১৫ নং মামলার বাদী সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের আব্দুল কাদের গোষ্ঠবিহার গ্রামের রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বাদী আব্দুল কাদেরকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিবাদী রাশেদুজ্জামানের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার আরিফ ও শফিকুলসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ডেকে জোর করে চুয়াডাঙ্গার অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে সে তিতুদহের শুকুর আলীকে দেখতে পায়। এ সময় আদালত চত্বরে হইচই পড়ে গেলে বিবাদী রাশেদুজ্জামানের মাধ্যমে অপহৃত বাদী আব্দুল কাদেরকে ১ ঘণ্টা পর আদালত প্রাঙ্গণে ছেড়ে দেয়া হয়। বাদীকে হুমকি দেয়া হয়েছে বিনা পয়সায় মামলা তুলে নিতে হবে নইলে পুনরায় তুলে নিয়ে আসা হবে।

কার্যকরি কমিটির সভায় বক্তারা বলেন, ইদানীং কোর্ট চত্বর থেকে বাদী অথবা বিবাদী দ্বারা বহিরাগতদের দ্বারা বাদী-বিবাদী অপহরণের ঘটনায় ঘটছে। এমনকি আইনজীবীরাও অপহরণের হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। বক্তার আরো বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা নিরাপত্তার জন্যই কোর্টে আসেন। আর এখানেই যদি এমন নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয় তাহলে তারা কোথায় যাবেন। এখন থেকে কোর্ট চত্বর থেকে কোনো প্রকার অপহরণের ঘটনা ঘটলে অপহরণের শিকার সংশ্লিষ্ট বাদী-বিবাদী কর্তৃক মামলা দাখিল করতে হবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তসমূহ জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, হাজি আলী আজগার টগর এমপি, জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পৌর মেয়র ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল জানান, পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অপহরণের শিকার বাদী-বিবাদী-পুলিশ মামলা না করলে বার নিজ উদ্যোগে মামলা দায়ের করবে। আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা বৃদ্ধির জোর দাবি জাননো হয়।