চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ার গৃহবধূর ট্রেনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা

 

দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায় দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়া গ্রামের মধ্যবয়সী মহিলা নারগিস ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে করলেন আত্মহত্যা। আসলে কি আত্মহত্যা নাকি ট্রেন দুর্ঘটনায় জীবন গেলো নারগিসের? পুলিশ দর্শনা হল্টস্টেশনের অদূর থেকে নারগিসের ধড় মাথা আলাদা হওয়া লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া কলেজপাড়ার আসান আলীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী নারগিস (৪৫) গতকাল শনিবার বেলা ৪টার দিকে দর্শনা হল্টস্টেশনের অদূরে ইটখোলা নামকস্থানে চুয়াডাঙ্গা রাজশাহী-খুলনাগামী যাত্রীবাহী ট্রেন মহানন্দার চাকায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে মারা যান। নারগিসের ছেলে লাল্টু জানিয়েছেন, তার মা দীর্ঘদিন ধরে পেট ও মাজার সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল দুপুরে শারীরিক সমস্যা জটিল হলে বাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য দর্শনায় আসেন। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় সকলে চিন্তিত হলে দর্শনা থেকে মোবাইলফোনে জনৈক ব্যক্তি মৃত্যুর খবর দেয়। ছেলে লাল্টুর আকাশ ফাটা কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেছে, তার মা কেনো কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা বুঝে উঠতে পারছি না। রেল লাইনের নির্জন স্থান থেকে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জিআরপি পুলিশ নারগিসের লাশ উদ্ধার করে।