ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডকে ধুয়ে দিলেন গেইল–স্যামিরা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৪ জনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটা বড় একটা চমক হয়ে এসেছে। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন স্যামি এদের কেউই দলে নেই! অথচ যে নীতির কারণে এ চারজন উপেক্ষিত থেকে গেছেন, সেই নীতি না মেনেই দলে জায়গা পেয়ে গেছেন কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারাইন। গেইল, ব্রাভো, স্যামিরা তাই সরাসরি দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চুক্তি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সাথে খেলোয়াড়দের ঝামেলা চলে আসছে অনেক আগে থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটি একপাশে সরিয়ে রেখেই খেলেছিলেন স্যামিরা। বাকিটা তো ইতিহাস। কিন্তু শিরোপাজয়ী দলের গেইল, স্যামিরা এবার অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম চার ম্যাচের দলে নেই। চোট কাটিয়ে ফেরা পোলার্ড জায়গা পেয়েছেন। অ্যাকশন শুধরে আবার বোলিংয়ে ফেরা নারাইনও ডাক পেয়েছেন। গেইলরা তাই প্রশ্ন তুলেছেন দলের নির্বাচন নীতি নিয়েই। নির্বাচকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট না খেললে দলে বিবেচনা করা হবে না। তবে এ যুক্তিতে এই চারজন বাদ পড়লেও নারাইন-পোলার্ডেরও দলে থাকার কথা নয়। ব্রাভো সমালোচনার তির ছুড়েছেন নির্বাচকদের দিকে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচকেরা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কৌতুক। যারা একটু আগেই দলের জন্য যথেষ্ট ভালো ছিলো না, এখন তারা ত্রিদেশীয় সিরিজে জায়গা পাচ্ছে। আর আমাদের একবার বলা হলো আমরা ঘরোয়া সুপার ফিফটিতে খেলিনি বলে বাদ পড়েছি। পরে জানা গেল কারণ সেটা নয়। হাস্যকর!’

স্যামি প্রশ্ন করেছেন পোলার্ডকে, ‘পোলার্ড, দলে জায়গা পাওয়ায় তোমাকে অভিনন্দন। কিন্তু আমাকে বুঝিয়ে বল ২০১৪ সালের পর কোনো ওয়ানডে না খেলে বা সুপার ফিফটিতে না খেলে তুমি কীভাবে সুযোগ পেয়ে গেলে?’ গেইলও বোর্ডকে একটা খোঁচা দিয়েছেন, ‘আগে পোলার্ডকে বাদ দেয়া হলো, সুযোগই দেয়া হলো না। এখন নিশ্চয়ই বোর্ড বলবে তার আসলে চোট ছিলো, ইত্যাদি ইত্যাদি। নারাইনকে বোর্ডই সুপার ফিফটিতে খেলতে দিলো না, এখন আবার তাকে দলে নিল!’ পোলার্ড টুইটারের উত্তরে গেইলদের সাথে  রসিকতাই করেছেন। কিন্তু বোর্ডের সাথে অনেক দিন ধরেই চলতে থাকা চাপান-উতোর এতে নিশ্চিত করেই আরও বাড়বে।