স্টাফ রিপোর্টার: ঋণ দেয়ার নামে গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ৩ মাঠকর্মী। চুয়াডাঙ্গা সদরের জাফরপুর এলাকার অতিদরিদ্র কয়েক গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে ওই ৩ কর্মী লাপাত্তা হয়ে যায়। গতকাল সকালে ওই গ্রাহকরা জাফরপুর এলাকায় নিযুক্ত নতুন মাঠকর্মীকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে ইউনিট ম্যানেজার সেখানে গেলে মাঠকর্মীকে ছেড়ে তাকে আটকে রাখা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা আটক থাকার পর গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাসে মুক্ত হন ইউনিট ম্যানেজার নাসির উদ্দীন।
চুয়াডাঙ্গা সদরের জাফরপুর গ্রামের অতিদরিদ্র কয়েকজন ঋণ নেয়ার জন্য ওয়েভ ফাউণ্ডেশনে ভর্তি হন। তাদেরকে এনজিওর ক্ষুদ্র উদ্যোগী ঋণ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করেন অভিযুক্ত মাঠকর্মী হোসনে আরা বেগম, আলিম হোসেন ও বাহারুল। প্রত্যেক সপ্তাহে গ্রাহকদের কাছে নেয়া হতো সঞ্চয়ের টাকা। সঞ্চয়ের টাকা জমার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও ঋণের টাকা পায়নি গ্রাহকরা। জাফরপুর মোড় এলাকার ইদ্রিসের স্ত্রী রানী খাতুন ৪ হাজার ৪শ, নজরুলের স্ত্রী ডালিয়া খাতুন ৬ হাজার ৯৮০, মানজারুল ১৮শ, মালেকের স্ত্রী মালেকা ৩ হাজার, কাশেমের স্ত্রী শান্তনা ২ হাজার ৫শ’ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই ৩ কর্মী। গ্রাহকদের টাকা ও পাশ বই নিয়ে আটকে রাখে তারা। কিছুদিনের মধ্যেই চাকরি ছেড়ে পালিয়েছে ওই ৩ জন। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে ঋণের টাকা তো দূরের কথা, সঞ্চয়ের টাকাই ফেরত পাননি গ্রাহকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওয়েভ ফাউণ্ডেশনের নতুন মাঠকর্মি জাফরপুর এলাকায় গেলে তাকে আটকে রেখে খবর দেয়া হয় ইউনিট ম্যানেজারকে। ইউনিট ম্যানেজার নাসির উদ্দীন সেখানে গিয়ে গ্রাহকের জমাকৃত টাকার কথা নানা অযুহাতে অস্বীকার করেন। এর ফলে নাসির উদ্দিনকেও আটকে রাখে গ্রাহকরা। বেলা ৩টার দিকে ইউনিট ম্যানেজার নাসির উদ্দীন ওই গ্রাহকদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পার পান। টাকা দেয়ার জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়ে অবশেষে তিনি মুক্ত হন।