বিএনপি ও জামায়াত ইসরাইলের সাথে হাত মিলিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বর্তমান সরকারকে উত্খাতে ইসরাইলের সাথে হাত মিলিয়েছে। দেশের জনগণকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখন এতটাই বেপরোয়া যে, তারা সকলে মিলে এখন আমাকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। সত্য কোনোদিন চাপা থাকে না। তারা যাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা প্রতিনিয়তই ফিলিস্তিনে নারী ও শিশু হত্যা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বাংলা প্রবাদ উদ্বৃত করে বলেন- ‘রতনে রতন চেনে’। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিএনপি-জামায়াতের মন্ত্রিত্ব প্রদান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের হাতে তুলে দিয়েছিল, তাদেরও বিচার করা হবে। তারাও সমান অপরাধে অপরাধী। আমাদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকাকে পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেয়া চক্রকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির ঘৃণা করা উচিত উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এটা এমনভাবে হওয়া উচিত যেন পরাজিত শক্তি এই ঘৃণাটা উপলদ্ধি করতে পারে।

ইসরাইলের রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশের হাতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে যেমন ষড়যন্ত্র করে চলেছে তেমনি ইসলামের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।  শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ জনগণ বিএনপি-জামায়াতের সেই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তিনি বলেন, সাধারণের প্রতিরোধের মুখে বিএনপি-জামায়াত তাদের সন্ত্রাস বন্ধ করে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়। আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না।

শেখ হাসিনা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘ছয় বছর প্রবাসে কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে এক ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ দিনে দেশে ফিরে আসি’। শূন্য হাতে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের সাহস এবং প্রেরণা ব্যতীত কোনো সম্পদ ছিলো না তার কাছে।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান। সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি অনিল দাশগুপ্ত এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন খান এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।