চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় দফায় দফায় অজ্ঞাত যুবকদের হামলা : মিনি ট্রাকসহ বাড়িঘর ভাঙচুর : দুটি ককটেল বিস্ফোরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ার আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে মিনি ট্রাকসহ বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে স্থানীয় ৩০/৪০ জন অজ্ঞাত যুবক। ভাঙচুর করে যাওয়ার সময় তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, মৃত আবুল মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে আমবাগান লিজ নিয়ে থাকেন। তার মেয়ের সাথে দামুড়হুদা উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে ওয়াশিম আকরামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওয়াশিম তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকে। সে দীর্ঘদিন মাদক বিক্রি করে আসছে। এলাকার কতিপয় যুবক তার কাছে মাদক কিনে থাকে। কিছু যুবক বিনামূল্যে মাদক চাওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। আর এ কারণেই ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল ভোর ৪টার দিকে প্রথম ৮/১০ জন তার বাড়ির সামনের আমবাগানে যায় এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্তক করে যে টাকা ছাড়াই তাদের ইয়াবা দিতে হবে। কিন্তু আমি বা আমার জামাই গরিব মানুষ। আমাদের টাকা দিয়েই ইয়াবা কিনতে হয়। বিনামূল্যে দিলে আমাদের ব্যবসা কীভাবে চলবে? তারা চলে গেলে আমার জামাই ওয়াশিম সকালে পুলিশে খবর দিলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে।

পরে দুপুরে ৩০/৪০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমার বাড়িঘরসহ জামাইয়ের একটি মিনি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ন-১৮-১৬১৫) ভাঙচুর করে। তারা দা দিয়ে ঘরের টিন, আসবাবপত্র ও মিনি ট্রাকটি কোপায়। তখন আমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে চলে যায়। তাদের আমি কাউকে চিনতে পারিনি। এ ভাঙচুরের ঘটনায় তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক জানান, বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। ভুক্তভোগীরা কাউকে চিনতে পারেনি বলে জানিয়েছে। তাছাড়া তারা থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ১০ যুবককে আটকের পর তদন্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেয় পুলিশ।