কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ : শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: খুনের মামলার পলাতক প্রধান আসামি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান বিশ্বাসকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

গত ৭ মে চতুর্থ ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকোলা গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আখতারুজ্জামান বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা মিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজ উদ্দিনের সমর্থক মাসুদ করিম লাল্টুকে প্রকাশ্য দিবালকে কুপিয়ে নৃংশসভাবে খুন করে।

মামলা হলেও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া ডিসি কোর্ট চত্বরে এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৮ এপ্রিল সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টু নামে এক নিরীহ মৎস্য খামারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস ও তার ক্যাডাররা। ঘটনার মূল হোতা আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জান বিশ্বাসসহ অধিকাংশ আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগেরই কয়েকজন নেতা তাকে সেল্টার দিচ্ছে। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস এর আগেও একাধিক মানুষ খুন করেছে। আক্তারুজ্জামানের আত্মীয়স্বজনরা জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে লাল্টুর পিতা মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন মোল্লাকে খুন করে আখতারুজ্জামানের স্বজনরা। তখন লাল্টুর বসয় ৭ মাস ছিলো। এতোদিন পরে এসে আখতারুজ্জামানের হাতে প্রাণ দিতে হলো লাল্টুকে। লাল্টুর মেয়ের বয়স ৫ বছর। লাল্টুর মতো তার মেয়েও এতিম হয়ে গেছে। কে তাদের সান্ত্বনা দেবে।

বক্তারা অবিলম্বে আক্তারুজ্জামান বিশ্বাসসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক দাবি করেন। এ সময় আখতারুজ্জামান বিশ্বাসের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। মানববন্ধন না করতে এলাকাবাসীকে চাপ দেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। তা সত্ত্বেও এলাকার লোকজন মানববন্ধন করে। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধান আসামি আখতারুজ্জামানকে ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তার লোকেশন শনাক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া যারা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে তাদের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই প্রধান আসামি গ্রেফতার হবে।